Advertisement
Advertisement

Breaking News

corona virus

বকেয়া আদায় করতে করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে দীর্ঘক্ষণ মালিকের বাড়িতে বসিয়ে রাখলেন পাওনাদার

পাওনা টাকা আদায়ের এই পন্থার তীব্র সমালোচনা করেছেন এলাকার মানুষ।

Man sends corona infected wife to collect due at Hooghly | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:April 28, 2021 9:50 pm
  • Updated:April 28, 2021 9:50 pm

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: এভাবেও করোনা আক্রান্তকে (COVID Positive) কাজে লাগানো সম্ভব! শুনলে অবাক হতেই পারেন। পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে কোভিড পজিটিভ স্ত্রীকেই ইটভাটার মালিকের বাড়িতে টানা দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রেখে দিলেন পাওনাদার!

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বৈদ্যবাটির শুভতলা এলাকায়। পাওনা টাকা আদায়ের এই পন্থার তীব্র সমালোচনা করেছেন এলাকার মানুষ। ঘটনায় ইটভাটার মালিক শ্রীরামপুর মহকুমাশাসক ও শ্রীরামপুর থানায় মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন। পরে তিনি এই বিষয়ে পাওনাদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করবেন বলে জানান।

Advertisement

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, বৈদ্যবাটি কাজীপাড়ার বাসিন্দা গঙ্গারাম সরকার ইটের কারবারী। ব্যবসায়িক সূত্রে শুভতলার ইট ভাটার মালিক শেষনাথ সিংয়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। গঙ্গারামের সে ইটের কারবারের জন্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা কয়েক মাস আগে শেষনাথকে দিয়েছিলেন। বিনিময়ে শেষনাথ তাঁকে কোনও ইট তো দেননি, উলটে টাকা শোধের কথা বললে নানা অছিলায় ঘুরিয়ে যাচ্ছিলেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ওরা খুঁজে পায়নি, ওদের দোষ’, দিনভর লুকোচুরি নিয়ে কমিশনকেই দুষলেন অনুব্রত]

এদিকে সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হন। তিনি শেষনাথের হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর স্ত্রীর করোনা রিপোর্ট পাঠিয়ে চিকিৎসার জন্য টাকা ফেরত চান। শেষনাথ তাঁকে একটি লক্ষাধিক টাকার চেক দেন। কিন্তু সেই টাকা তুলতে গিয়ে গঙ্গারাম ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন অ্যাকাউন্টে অত টাকাই নেই। এরপরই গঙ্গারাম বুধবার তাঁর করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে নিয়ে সোজা হাজির হন বৈদ্যবাটি শুভতলায় ইটভাটার মালিকের বাড়িতে। পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে শেষনাথের বাড়িতে টানা দেড় ঘণ্টা বসিয়ে রাখেন। পরে অবশ্য শেষনাথ তাঁকে দশ হাজার টাকা দিলে গঙ্গারাম স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ শেষনাথ সিং টাকা ধার নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, গত কয়েক মাস ধরে ভাটা বন্ধ। কোনও রোজগার নেই। তিনি গঙ্গারামকে চেক দিয়ে বলেছিলেন দু’দিন বাদে ব্যাংকে জমা দিতে। তার আগেই তিনি চেক জমা করেছেন। তবে যেভাবে করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে বসিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন, তাতে ভাটা সংলগ্ন এলাকার পরিবারগুলো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অবিলম্বে এই এলাকা স্যানিটাইজ করা প্রয়োজন। তিনি মৌখিকভাবে মহকুমাশাসক ও শ্রীরামপুর থানায় বিষয়টি জানিয়েছেন। পরে তিনি এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান।

[আরও পড়ুন: বাড়তে থাকা সংক্রমণের মধ্যে আশা কোভিড জয়ীরাই, রাজ্যে একদিনে সুস্থ প্রায় ১২ হাজার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ