Advertisement
Advertisement

ক্রমশ বাড়ছে জলস্তর, মহাকাশ থেকে হিমবাহের গলন নজরে রাখবে নাসা

এখনই হিমবাহের গলন রুখলে ধ্বংস আসন্ন, বলছেন বিজ্ঞানীরা৷

NASA set to launch the most advanced laser instrument space next month
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 31, 2018 4:43 pm
  • Updated:August 3, 2019 7:32 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর দুই মেরুতে হিমবাহের গলনের প্রতি নজরদারি বাড়াতে আরও তৎপর নাসা৷ এই নজরদারি পোক্ত করার জন্য আগামী মাসেই মহাকাশে নয়া উপগ্রহ পাঠাতে চলেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি৷ পৃথিবীর দুই মেরুপ্রদেশ, গ্রিনল্যান্ড ও আন্টার্কটিকায় প্রতি মুহূর্তে হিমবাহের পরিবর্তনের উপরে নজর রাখবে এই উপগ্রহ৷ সমস্ত ছবি পাঠাবে নাসাকে৷

[বাড়তি স্তনদুগ্ধ দান করে অন্য শিশুদের ত্রাতা মার্কিন মহিলা]

Advertisement

জানা গিয়েছে, এই কাজের জন্য অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট-২ বা ICESat-2 উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠাচ্ছে নাসা৷ আগামী মাসের ১২ তারিখ মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেবে সেটি৷ এতে রয়েছে লেজার টেকনোলজি এবং অতি শক্তিশালী ক্যামেরা৷ যা প্রতি সেকেন্ডে দুই মেরুপ্রদেশের ৬০ হাজার ছবি তুলতে সক্ষম৷ সংস্থার সায়েন্স মিশনের ডিরেক্টর মাইকেল ফারেলিচ জানিয়েছেন, নাসার মহাকাশ গবেষণা বিষয়ক বিভিন্ন প্রজেক্টের মধ্যে প্রজেক্টটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ৷ হিমবাহের গলনের প্রতি নজর রাখার পাশাপাশি, সংস্থাটি যে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির প্রতিও নজরদারি চালাবে তাও জানিয়েছেন মাইকেল ফারেলিচ৷

Advertisement

[‘ড্রিম গার্ল’-এর খোঁজে স্টেশনে স্টেশনে পোস্টার পাগলপারা প্রেমিকের]

কীভাবে কাজ করবে এই উপগ্রহ? বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এতে রয়েছে, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যাডভান্সড ট্রোপোলজিক্যাল লেজার আল্টিমেটার সিস্টেম বা ATLAS৷ যা প্রতি সেকেন্ডে হাজারেরও বেশিবার ফোটন কণাযুক্ত লেজার রশ্মি নিক্ষেপ দুই মেরুর দিকে৷ সেই রশ্মি বিভিন্ন হিমবাহের গায়ে ধাক্কা খেয়ে তার সেই সময়কার উচ্চতা পরিমাপ করবে৷ সঙ্গে সঙ্গে সেই ছবি পৌঁছে যাবে নাসার কেন্দ্রে৷ কেবল হিমবাহের উচ্চতাই নয়, পাশাপাশি ভূমি ও জলতলের মধ্যেকার ফারাকও মাপবে এই রশ্মি৷ বিশ্বকে বাঁচানোর জন্যই এমন প্রজেক্টের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ তাঁদের আশঙ্কা, যেভাবে বিশ্বে বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে, তাতে দুই মেরুর হিমবাহ গলতে আর বেশিদিন বাকি নেই৷ সেই গলনের মাত্রা সংক্রান্ত কোনও স্পষ্ট তথ্য এতদিন নাসার গবেষকদের কাছে ছিল না৷ সেই স্পষ্ট তথ্য পাওয়ার জন্যই এই প্রজেক্টের সূচনা বলে জানা গিয়েছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ