Advertisement
Advertisement

১২ টি মোষ ফিরল মালিকের কাছে, হাঁফ ছেড়ে বাঁচল পুলিশ

অবলা প্রাণীদের নিয়ে ল্যাজেগোবরে অবস্থা হয় প্রশাসনের।

Relief for Police, as businessman took there buffaloes away
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 15, 2017 6:26 am
  • Updated:September 19, 2019 2:24 pm

ধীমান রায়, ভাতার: চোর-ডাকাত ধরার বদলে মোষ পাহারা দিতে হচ্ছিল পুলিশকে। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। অবশেষে পাওয়া গেল জামিনদার। ৭ দিন আটক থাকার পর ভাতার থানা থেকে ছাড়া পেল এক ডজন মোষ। পশুপালন ব্যবসায়ী হুগলির বাসিন্দা রায়েস আহম্মেদ কুরেশি নিয়ে গেলেন তাঁর মোষগুলিকে। পোষ্যদের ফিরে পেলেও ক্ষুব্ধ ওই ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ মোষগুলি পেটভরে খেতে পায়নি। তাই চেহারা ভেঙেছে। পুলিশ অবশ্য অভিযোগ মানতে চায়নি।

[জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি, অচলাবস্থায় ২ শিশুর মৃত্যু বর্ধমান মেডিক্যালে]

Advertisement

গত শুক্রবার রাতে টহলদারির সময় ভাতার থানার পুলিশ ২ বি জাতীয় সড়কে ওড়গ্রামের কাছে বেশ কিছু মোষবোঝাই লরি আটক করে। ওদিন একই সময়ে বাদশাহি রোডে বিজিপুরের কাছে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে গরুবোঝাই একটি গাড়ি। তাতে ছিল ১৬ টি গরু। দুই গাড়ির চালক ও খালাসি মিলে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও আদালতের নির্দেশে গরুগুলিকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মোষগুলির জামিনদার না পাওয়ার সেগুলি ভাতার পুলিশের হেফাজতেই ছিল। ১২টি মোষকে রাখা হয়েছিল ভাতার কৃষিমান্ডিতে। দেখাশোনার জন্য পালা করে লোক রাখা হয়েছিল। পাহারার জন্য সর্বক্ষণ ছিল সিভিক ভলান্টিয়াররা। তবে মোষগুলি নিয়ে পুলিশের কার্যত হিমসিম অবস্থা হচ্ছিল। খেতে দেওয়া, চিকিৎসা ইত্যাদি সামলাতে কালঘাম ছোটার অবস্থা হয়েছিল পুলিশের। বুধবার রাতে মোষগুলির মালিক রায়েস আহম্মেদ কুরেশি ভাতার থানায় আসেন। তাকে বলা হয় স্থানীয় কাউকে জিম্মাদার না দেখালে তার হাতে মোষগুলি ছাড়া হবে না। কুরেশি স্থানীয় বেলেন্ডা গ্রামের জহর আলিকে অনেক বুঝিয়ে জিম্মাদার হিসাবে রাজি করান। তারপর জহর পুলিশের কাছে মুচলেকা দিলে পুলিশ মোষগুলিকে মুক্তি দেয়।

Advertisement

[শিকেয় সরকারি সুবিধা, অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবাতেও দেদার কালোবাজারি]

রায়েস কুরেশি জানান, তাঁর গোরু মোষ কেনা-বেচার ব্যবসা রয়েছে। পান্ডুয়া থেকে নিজের গাড়িতে চাপিয়ে ওই মোষগুলি নিয়ে যাচ্ছিলেন বীরভূম জেলার লোহাপুর হাটে। ভাতারের ওড়গ্রামের কাছে পুলিশ মোষবোঝাই লরিটি আটকায়। গ্রেপ্তার করা হয় লরির চালক ও খালাসিকে। কেস হয় লরি ও মোষ মালিকের বিরুদ্ধেও। দুদিন পরে যদিও সকলে জামিন পান। রায়েসের সংযোজন, তাঁর মোষগুলি সমস্ত গাভি মোষ। বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে যাচ্ছিলেন। মোষগুলি রোজ ৫–৬ কেজি করে দুধ দেয়। তাঁর অভিযোগ মোষগুলি কয়েকদিন ঠিকমতো খেতে পায়নি। এর ফলে তাদের বিক্রি করাও সমস্যা হবে বলে কুরেশি মনে করেন। মোষগুলি ফিরে পেয়ে মালিক যেমন নিশ্চিন্ত হয়েছেন তেমনি হাঁফ ছেড়ে বাঁচে ভাতার থানার পুলিশও। আর জহর আলির মুখেও চওড়া হাসি। তার ঘনিষ্ঠদের কাছে জানা যায় জামিনদার হওয়ার জন্য মোষমালিকের কাছে ভালই বকশিশ পেয়েছেন জহর।

ছবি: ধীমান রায়

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ