সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে – মানুষের জীবন এই তিন সত্যি নিয়ে। এ সমাজে আবার মেয়েদের বিয়ের গুরুত্ব একটু বেশি। বিয়ে নিয়ে কল্পনার সাম্রাজ্য সাজান না, এমন নারী এ ভূ-ভারতে মেলা বিরল। কিন্তু কল্পনা আর বাস্তবে বিস্তর ফারাক। মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক। আদতে হয়টা কী? বিয়ের দিন আসলে মেয়েরা ভাবেন কী? অনেক আলোচনা-পর্যালোচনার পর এই ভাব সাগরের একটু তল মিলেছে। কয়েকটি কারণ অনুমান করা গিয়েছে। যেমন-
[দাঁড়িয়ে জল পান করেন? জানেন কী ক্ষতি করছেন নিজের শরীরের?]
১) উদ্বিগ্ন- বিয়ের দিন আনন্দ কম মেয়েদের মনে টেনশনই বেশি থাকে। বরের গাড়ির ঠিক সময়ে আসবে তো? আসলে সঙ্গে কে কে আসবে? বিয়ের সমস্ত অনুষ্ঠান ঠিকঠাক হবে তো? কোনও ঝামেলা হবে না তো? এই টেনশনেই পুরো দিনটা কেটে যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মধুরেণ সমাপয়েতই হয়।
২) প্রকৃতির ডাক- ভারী বেনারসি শাড়ি, গহনায় প্রায় ডুবে থাকেন ভারতীয় পাত্রীরা। এত সাজসজ্জার পর যদি প্রকৃতির ডাক আসে? মেয়েদের মাথায় যেন বিনামেঘে বজ্রপাত হয়। এতকিছুর পরে কি আর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া সম্ভব? কিন্তু তা আর তো চেপে রাখা যাবে না। তাই অনেকেই শেষ মুহূর্তে সাজগোজ সারতে পছন্দ করেন।
৩) আত্মীয় বিড়ম্বনা- বিয়ে মানেই আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতি। কাছের লোকেদের কথা আলাদা, কিন্তু এদিন এমন অনেক ‘আত্মীয়’র আবির্ভাব হয় যাঁদের কস্মিনকালেও দেখা যায় না। অথচ সব বিষয়ে তাঁদের অগাধ জ্ঞান। এই জ্ঞানের ঠেলায় অনেক সময়ই কনের মনে হয় পালিয়ে বাঁচলেই বেশ হত।
৪) সাজসজ্জা- ভারতীয় রীতিনীতিতে বিয়ে মানেই আড়ম্বর। আর এই আড়ম্বরের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন কনে। তাঁকেই সবচেয়ে বেশি সাজতে হয়। এই সাজ নিয়েই মেয়েরা দুশ্চিন্তায় ভোগেন। একটু বেশি হয়ে গেল না কি? খারাপ দেখতে লাগছে না তো? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খেতে থাকে তাঁর মনে।
৫) নিষ্কৃতি- সারা দিন মাইকে সানাইয়ের সুর, লোকের আনাগোনা। অযাচিত কথাবার্তা, পরামর্শ কনেদের ভীষণ বিরক্ত করে তোলে। তখন মেয়েদের মনে হয় একটু নিরিবিলিতে গিয়েছে নিজের মতো থাকতে পারলে ভাল হত। তাহলে হয়তো বিয়ের প্রকৃত অনুভূতিটা পাওয়া যেত।
৬) অচেনা- একে চিনতে পারলি? এই প্রশ্নের সম্মুখীন প্রত্যেক কনেকে হতে হয়। যাঁদের কস্মিনকালে চোখে দেখেননি তাঁর বংশ পরিচয় নিয়ে কৈফিয়ত দিতে হয়। কে কার মামার ছেলের কাকির বউ? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতেই জীবন জেরবার হয়ে যায়।
৭) ফুলশয্যা- তবে বিয়ের দিন মেয়েরা সবচেয়ে বেশি চিন্তিত থাকেন ফুলশয্যার রাত নিয়ে। বিশেষ করে যদি অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হয়। এক প্রায় অচেনা পুরুষের সঙ্গে একঘরে থাকার অনুভূতি মনে অজানা ভয়ের সৃষ্টি করে।
[জানেন, কলকাতার কোন রেস্তরাঁয় গেলে মিলবে ২৫০ রকম স্বাদের রসগোল্লা?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.