Advertisement
Advertisement

উড়ে গেল একাকী হাঁস মৃত্যুর চই-চই ডাকে

নিঃসঙ্গ মরালের মৃত্যু কাহিনী।

World's loneliest duck died
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 28, 2019 6:23 pm
  • Updated:January 28, 2019 6:29 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা একটা জীবন একলাই কাটিয়ে দিল ট্রেভর। সঙ্গীহীন, বন্ধুহীন, প্রেমহীন, প্রতীক্ষাহীন। এক্কেবারে নিঃসঙ্গ হয়ে। শেষে বাসস্থানের অভাব আর শোষকের আক্রমণ তাকে টেনে নিয়ে গেল মৃত্যুর পথে। সমাপ্ত হল পৃথিবীর সবচেয়ে একলা হাঁসের জীবন কাহিনী।

duck1

Advertisement

ট্রেভর। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের বাসিন্দা পৃথিবীর নিঃসঙ্গ হাঁসের মৃত্যুতে বিষণ্ণতা নেমে এসেছে। ২০১৮ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডের ছোট্ট নিউ দ্বীপের বাসিন্দা ট্রেভর। কিন্তু কোথা থেকে সে ওই দ্বীপে পৌঁছাল, সে কথা কেউ জানে না। কেউ বলছেন, নিউজিল্যান্ড থেকেই নিউতে গেছে সে। আবার কারও মতে, পাশের টোঙা দ্বীপের বাসিন্দা ছিল ট্রেভর। পাড়া বদলাতে পৌঁছে গিয়েছে নিউতে। যাই হোক, নিউ দ্বীপে সে রীতিমতো সেলিব্রিটি। কারণ, একমাত্র ট্রেভর ছাড়া এই দ্বীপে কোনও হাঁস কখনও দেখেননি দ্বীপবাসী। সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড হলেও নিউ দ্বীপে জলভাগ যৎসামান্য। সেখান থেকেই দেখে, বুঝে খাল মতো একটা জায়গায় থাকতে শুরু করেছিল। শ্যাওলা, গেঁড়ি, গুগলির বদলে সে ভুট্টা দানা, ওটস, এসব খেত বাধ্য হয়। দ্বীপের মানুষজন তাকে নিয়ে খুব উচ্ছ্বসিত ছিল। কিন্তু বেচারা ট্রেভর! স্বজাতির কারও মুখ দেখতে না পেয়ে দিন কেটে যেত মনখারাপেই। ধীরে ধীরে অবশ্য একটা মুরগির সঙ্গে একটু বন্ধুত্ব হয়। ওয়েকা নামে ওই মুরগি ট্রেভরের সঙ্গে খেলা করত। দ্বীপের বাসিন্দারা রোজ তাকে খাওয়াতে আসতেন। এমনকি তার বাসস্থান খানাটিও পরিষ্কার করে দিতেন। ট্রেভর যাতে ভালো থাকে, তার আয়োজনে সদাব্যস্ত ছিলেন তাঁরা।

Advertisement

                                         প্রেম করার জন্য সিঙ্গল মহিলাদের অতিরিক্ত ছুটি দিচ্ছে দুই সংস্থা

কিন্তু মুরগি বন্ধু, মানুষ বন্ধুদের এই ভালোবাসা বিশেষ কাজে এল না। একদিন কয়েকটা কুকুর একলা হাঁসকে পেয়ে তার ওপর হামলা চালায়। একা প্রতিরোধ করতে পারেনি ট্রেভর। মৃত্যু হয় তার। যেমনটা হয়ে থাকে সবল-দুর্বলের চিরাচরিত লড়াইয়ের গল্পে। ট্রেভরের মৃত্যুর খবর জেনে নিউ দ্বীপে একরাশ বিষণ্ণতা নেমে এসেছে। মানুষজন তার আত্মার শান্তি কামনায় পালন করেছেন নীরবতা। স্থানীয় বাসিন্দা মিস ফিন্ডলে বলছেন, ‘আমি প্রতিদিন ওর জন্য এক বস্তা করে ওটস নিয়ে যেতাম। কাজ থেকে ফেরার পথে খাওয়াতাম। এবার থেকে সেই রুটিনে ছেদ পড়ল। মিস করব।’ একলা ঘুরে ঘুরে বন্ধুকে খুঁজেই চলেছে ওয়েকা। কিন্তু নীল জলরাশি, প্রবালের দ্বীপের পাশে সবুজে ভরা, নির্জন নিউ দ্বীপের মায়া কাটিয়ে, এ পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গিয়েছে একলা মরাল। হয়ত অন্য কোনও দ্বীপে, ঠিক যেভাবে অজানা ঠিকানা ছেড়ে এক বছর আগে সে পৌঁছে গিয়েছিল দূরের নিউ দ্বীপে। হয়ত ট্রেভরের মতো তুচ্ছ এক প্রাণীর বিদায় কোনও দাগ কাটবে না বৃহত্তর জগতের কোনও অংশে। কিন্তু নিউ দ্বীপের বাসিন্দারা বলছেন – ‘ট্রেভর, তোমাকে আমরা ভুলছি না। যেখানেই থাকো, ভাল থাকো।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ