দশ বছরের অপেক্ষার অবসান। ফের নাইট রাইডার্সের মাথায় আইপিএল সেরার শিরোপা। মাঠে যেমন ছিল স্টার্ক-ভেঙ্কটেশদের দাপট, তেমন মাতিয়ে রাখলেন কিং খান।
কে বলবে তিনি অসুস্থ? রবিবার চূড়ান্ত ম্যাচে কেকেআর টিমকে টনিক জোগাতেই অসুস্থ শরীর নিয়েও চিপকে উপস্থিত ছিলেন কিং খান।
প্রায় গোটা ম্যাচই মুখে মাস্ক পরেছিলেন বাদশা। পাশে ছায়াসঙ্গীর মতো ছিলেন গৌরী। সঙ্গে ছিল তাঁর বাদশাহী পরিবার। দুই ছেলে আরিয়ান, আব্রাম আর মেয়ে সুহানার সঙ্গে গোটা খান পরিবারকেই পাওয়া গেল বাদশাহী মেজাজে।
ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই খুলে ফেললেন মাস্ক। ম্যাচ জিততে তখন আর কয়েক রান বাকি নাইটদের। কখন যে মাঠে নামবেন, তর সইছিল না শাহরুখের। তার পরই দর্শকদের দিকে ছুঁড়ে দিলেন উড়ন্ত চুমু।
অবশেষে এল সেই কাঙ্ক্ষিত জয়। গ্যালারি ছেড়ে জনতার মাঝে নেমে এলেন কিং। দুহাত ছড়িয়ে দাঁড়ালেন সেই আইকনিক ভঙ্গিতে। যা দেখলে আজও সময় থমকে যায় অনেকের।
চলতি আইপিএল শুরুর আগে ফিরিয়ে এনেছেন গৌতম গম্ভীরকে। যার হাত ধরে ২০১৪ সালে শেষবার আইপিএল ট্রফি এসেছিল নাইটদের ঘরে। এবার তাঁকে মেন্টর করে আনতেই ফের সাফল্য। গম্ভীরের কপালে চুমু দিয়ে ভালোবাসা জানালেন বলিউডের রোমান্সের রাজা।
ফ্লাইং কিস উড়িয়ে দিলেন দর্শকদের জন্য। তবে সেটা হর্ষিত রানাকে পাশে নিয়ে। যিনি এবার এক ম্যাচ ব্যান হয়েছিলেন। কোনও বিশেষ ইঙ্গিত? আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না।
শ্রেয়স আইয়ারকে নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ ছিল। কিন্তু সব কিছুকে ভুল প্রমাণ করেছেন তিনি। ম্যাচের শেষে তাঁর মায়ের সঙ্গে পরিচয় করলেন শাহরুখ।
একদিকে যখন জেতার আনন্দে মেতেছে নাইটরা। তখন অন্যদিকে হায়দরাবাদের মালিক কাব্যা মারানের চোখে জল। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই তিনি উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন সানরাইজার্সকে। কিন্তু নাইটদের সামনে শেষরক্ষা হল না।
রাজকীয় মেজাজে জয়। অনায়াসে উড়ে গেল অরেঞ্জ আর্মি। কে জানত ফাইনালের লড়াই এতটা একতরফা হবে? শেষ পর্যন্ত ট্রফি উঠল নাইটদের হাতে।
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.