প্রতি বছরের মতো এবারও পুরীতে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা ঘিরে ভক্তদের ঢল। রথের আগে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা পালিত হয়ে থাকে। এদিন গণেশ বেশে সাজানো হয় জগন্নাথকে।
স্নানযাত্রার আয়োজন মনোরম। পবিত্র স্নান-পূর্ণিমায় রত্ন সিংহাসন থেকে নেমে আসেন প্রভু জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরাম। স্নানবেদীতে হয় মহাপ্রভুর প্রত্যক্ষ স্নান। অন্য সমস্ত দিন পরোক্ষ স্নান করেন রত্নবেদীতে আসীন ত্রিদেব।
স্নানযাত্রার দিন জল আনা হয় ‘স্বর্ণ কুণ্ড’ থেকে। কুণ্ডটি শ্রীমন্দিরের ভেতরেই অবস্থিত। সুদর্শন ও ত্রিমূর্তি-কে ১০৮ কলসি জলে স্নান করানো হয়।
‘স্কন্দপুরাণ’-এ উল্লেখ রয়েছে, স্বয়ং শ্রীজগন্নাথ ইন্দ্রদ্যুম্ন মহারাজকে বলেছিলেন, ‘আমার আবির্ভাব দিবস জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমাতে আমাকে বাইরে, মণ্ডপের উপর নিয়ে গিয়ে ভক্তিভাবে আদর-যত্নে মহাস্নান করাবে।’ সেই আদেশ পালনের পরম্পরাই এখনও চলছে।
জনশ্রুতি আছে, আগে এই উৎসবটির জন্যে ভারতের বিভিন্ন তীর্থস্থান থেকে পবিত্র জল আনা হত। বৈষ্ণব মতে ঠাকুরের যাত্রার আগে তাঁর রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য ঝাড়ু দেওয়া হয়।
মহাপ্রভু জগন্নাথের প্রথম সেবক হিসেবে পুরীর মহারাজ ঠাকুরের জন্য রাস্তা পরিষ্কার করেন। এই একই প্রথা আমরা দেখতে পাই রথযাত্রা ও উলটোরথের সময়।
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.