রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: হাতির শুঁড় দিয়ে খুঁড়ে তোলা মাটিই অন্যতম উপকরণ আলিপুরদুয়ার রামকৃষ্ণ আশ্রমের দুর্গাপুজোয়। শুধু তাই নয়, দেবীকে স্নান করানোর জন্য আনা হয় সমুদ্র, নদী, ঝরনা-সহ ১৩ স্থানের জল। সারাবছরই এই সমস্ত উপকরণ সংগ্রহ করা হয়। এইসব উপকরণ সংগ্রহের জন্য আবার রয়েছে আলাদা আলাদা লোক।
[ কাটোয়ার গঙ্গোপাধ্যায় বাড়িতে আজও পুজো হয় প্রাচীন তালপাতার পুঁথি দেখে]
এবার তন্ত্রধারক ১২ পুজারির একটি দল মালদহ থেকে আসবেন পুজো করতে। এইভাবেই শুদ্ধ আচারে দুর্গাপুজো হয় এই রামকৃষ্ণ আশ্রমে। এবারে এই আশ্রমের পুজো ১৫ বছরে পা দিল। পুজো উপলক্ষে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ভোলারডাবরি এলাকার রামকৃষ্ণ আশ্রমে। বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ধারা অনুসারে দুর্গাপুজো হয় এই আশ্রমে। রথযাত্রার পরে একটি শুভদিনে এখানকার দুর্গাপ্রতিমার কাঠামো পুজা হয়। এটাই এই রামকৃষ্ণ আশ্রমের রীতি বলে জানালেন এই আশ্রমের পরিচালন সমিতির সভাপতি রঞ্জিত কুমার ঘোষ। তিনি বলেন, “এই আশ্রমের দুর্গাপুজো নিজস্ব আচার-অনুষ্ঠান ও শিষ্টাচারের জন্য বিখ্যাত। এখানে প্রতিবছর মহাষ্টমী ও মহানবমীর দিন ৫০০০ মানুষ অন্নভোগ গ্রহণ করেন। নবপত্রিকার জন্য ধান, মান, কলা-সহ নয় রকমের ডাল, পাতা জোগাড় করতে হয়। এখানকার কুমারী পুজো দেখতে হাজারের বেশি মানুষের ভিড় জমায়।” আলিপুদুয়ারের রামকৃষ্ণ আশ্রমের ডাকের সাজের প্রতিমা তৈরি করছেন চেচাখাতার মৃৎশিল্পী সাধন পাল। মহাষ্টমীর সকালে ১২ বছরের কম বয়সের কুমারী কন্যাকে মাতৃরূপে পুজো করা হয়। এই কুমারী পুজো দেখতে মানুষের উপচে ভিড় উপচে পড়ে।
[ পুজোর চারদিন পাতে থাক পোলাও, জেনে নিন তৈরির পদ্ধতি]