২৩ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  বুধবার ৭ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

আমার দুগ্গা: দুর্গাপুজো মানেই অনিয়ম, সন্ধ্যায় ঢাকের তালে নেচে

Published by: Kumaresh Halder |    Posted: October 8, 2018 5:01 pm|    Updated: October 8, 2018 5:01 pm

Cricketer Ishan Porel describes how he celebrates Durga Pujo

নতুন জামার গন্ধ। পুজোসংখ্যার পাতায় নয়া অভিযান। পুজোর ছুটির চিঠি। ছোটবেলার পুজোর গায়ে এরকমই মিঠে স্মৃতির পরত। নস্ট্যালজিয়ায় ঈশান পোড়েল

দুর্গাপুজো মানেই অনিয়ম। সকালে জলখাবার বাদ। বিকেলবেলা দুপুরের খাওয়া। একদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ানো, ক্যাপ ফাটানো। এগুলি ছাড়াও ছেলেবেলার দুর্গাপুজো কেটেছে ঢাক বাজিয়ে, সন্ধ্যাবেলা ঢাকের তালে নেচে। চন্দননগরে হাটখোলা সপ্তসম্মিলনীর পুজোকে ঘিরেই কেটেছে আমার ছেলেবেলা। বাড়ির সামনেই এই পুজোয় ছিল আমাদের প্রাণভ্রমরা। এই পুজোকে ঘিরে মহালয়া থেকেই উন্মাদনা শুরু হয়ে যেত৷ আসলে মহালয়া নয়, মহালয়ার আগের দিন ওখানে রক্ষাকালী পুজো হওয়ার রীতি ছিল।

[এবার পুজো কীভাবে কাটাবেন মনামী-বিশ্বনাথ-অনির্বাণ?]

সেদিন থেকেই মূলত শুরু হয়ে আমাদের পুজো। মনে পড়ে, নাট-বল্টু ফাটানো হত পুজোয়। রাত জেগে পুজোতে শামিল হওয়ার পর মহালয়ার ভোরে রেডিও চালিয়েই আমরা পুজোকে স্বাগত জানাতাম। আগমনি গানের মধ্য দিয়ে পুজো-পুজো এক্সাইটমেন্ট শুরু হয়ে যেত। আর হ্যাঁ, দুর্গাপুজোর সঙ্গে আমার ঘড়ির হারানোর এক যোগসূত্র রয়েছে। মায়ের মুখ থেকে শুনেছি, প্রতিবছর পুজোয় আমি নাকি দু’টো করে ঘড়ি হারাতাম।

[আমার দুগ্গা: পুজো মানেই আড্ডা, জলসা আর গান]

নাচের সময় বা ঢাক বাজানোর সময় ওগুলি কীভাবে হাত থেকে খুলে পড়ে যেত, তা আজও আমার কাছে বিস্ময়ের। এবছর পুজোয় বাড়িতে থাকার ইচ্ছে রয়েছে। মূলত বাবা-মায়ের সঙ্গেই সময় কাটাব। কলকাতায় আসতে পারি। তবে আমার জন্য ভাল কোনও খবর অপেক্ষা করলে, হয়তো পুজোয় সময় বেঙ্গালুরুতেও থাকতে পারি। কিন্তু পুজোর উন্মাদনা মনে মনে উপভোগ করব। এখন অবশ্য আমি অনেক সংযত। খেলা আমাকে শৃঙ্খলার মধ্যে বেঁধে ফেলেছে।

[পুজোতেও সিক্যুয়েল, উষ্ণায়ন প্রতিকারে এ মণ্ডপে শিল্পীর ভাবনা সবুজায়ন]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে