Advertisement
Advertisement

পুজোর টিজার নিয়ে বিতর্কে সন্তোষপুর লেকপল্লি, মণ্ডপ জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি

বিপাকে পড়ে পুলিশের দ্বারস্থ পুজো কমিটি।

Teaser controversy jolts Kolkata's Santoshpur Lake Pally Puja
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:September 25, 2018 12:18 pm
  • Updated:September 25, 2018 12:38 pm

শুভময় মণ্ডল: পুজোর টিজার নিয়ে বিড়ম্বনায় সন্তোষপুর লেকপল্লি পুজো কমিটি। একটি মশলা প্রস্তুতকারী সংস্থা এবছর দক্ষিণের এই নামী পুজোর স্পনসর। যাদের এবারের মূল আকর্ষণ ‘হলুদের প্যান্ডেল’। কিন্তু টিজারে বাংলার বদলে হিন্দি ভাষার ব্যবহারই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। যার জেরে বিপাকে পড়েছে সন্তোষপুর লেকপল্লির এই পুজো। ফেসবুক-সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে প্রতিবাদ, সমালোচনার ঝড়। অবাঙালি মশলা প্রস্তুতকারী সংস্থা স্পনসর বলেই প্রথমে টিজারে লেখা ছিল ‘হালদি কা প্যান্ডাল’। কিন্তু তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ক্যাচলাইন বাংলায় করেও বিতর্কের ঝড় থামছে না। এমনকী মণ্ডপ জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে ফেসবুকে। বাধ্য হয়ে সোমবার সার্ভে পার্ক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পুজো কমিটি। হুমকি সত্যি হলে পুজোই বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হতে পারে ভেবে আশঙ্কায় উদ্যোক্তারা।

[পুজোয় স্মৃতির রঙ্গমঞ্চে সেজে উঠছে গৌরীবেড়িয়া সর্বজনীন]

 

Advertisement

Advertisement

শহরের পুজোয় প্রথমবার থিমের উপকরণ মশলা। পুজোয় কর্পোরেট সংস্থার পদার্পণও এবারই প্রথম। সন্তোষপুর লেকপল্লির স্পনসর এক মশলা প্রস্তুতকারী সংস্থা। মণ্ডপের মূল আকর্ষণকে নিয়েই পুজো কমিটির টিজার ছিল ‘হালদি কা প্যান্ডাল’। তারপর ফেসবুকে সন্তোষপুর লেকপল্লির পেজে সেই টিজার পোস্ট হতেই শুরু হয় বিতর্ক। একটি সংগঠন সমালোচনা, কটাক্ষে ভরিয়ে দেয়। আসতে থাকে অনবরত হুমকি। পুজোমণ্ডপে গিয়ে কালো পতাকা দেখানোর হুমকিও দিয়েছে সংগঠনের সদস্যরা। ফেসবুকে ‘বয়কট সন্তোষপুর লেকপল্লি’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে পুজো বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। বিক্ষুব্ধদের পুজো কমিটির তরফ থেকে বোঝানোর পরও চলতে থাকে সমালোচনা।

মণ্ডপ জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি পোস্ট

বিতর্কের মুখে পড়ে ক্যাচলাইন বদলে দেয় পুজো কমিটি। ‘হলুদের প্যান্ডেল’ ক্যাচলাইন দিয়ে নতুন করে টিজার পোস্ট করেও রেহাই পায়নি পুজো কমিটি। বেশ কয়েকজন ব্যক্তি মহিলাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন। মণ্ডপ পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে সার্ভে পার্ক থানায় অভিযোগ করেন উদ্যোক্তারা। কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখাতেও অভিযোগ দায়ের করবেন তাঁরা। পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ দাস বলেন, ‘ফেসবুক ওপেন ফোরাম। সেখানে যে কেউ সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু সমালোচনার নামে অশালীন মন্তব্য, পুজো বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি শোভনীয় নয়। এটা বেশিদিন চলতে পারে না। বিশেষ করে, একটি সংগঠন লাগাতার প্রচার করছে। বিদ্বেষমূলক উসকানি দিচ্ছে। তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি আমরা।’

[লাভের হিসেব বোঝেন না, নেশার টানে মূর্তি গড়েন শিলিগুড়ির নয়নজ্যোতি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ