Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্বস্তিকা

‘দুর্গা কে?’ দেবীপক্ষের সূচনালগ্নে দাঁড়িয়ে তাৎপর্যপূর্ণ প্রশ্ন স্বস্তিকার

কী লিখলেন অভিনেত্রী?

Swastika Mukherjee shares some pictures in Facebook and asks Durga Ke
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:September 27, 2019 3:33 pm
  • Updated:September 27, 2019 3:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দুর্গা কে?’ যাঁকে আমরা শ্রদ্ধা করি, যাঁর মূর্তির সামনে জোড়হাতে দাঁড়িয়ে প্রণাম করি, তিনি? নাকি আমাদের আশপাশে যেসব নারীকে আমরা প্রত্যক্ষ করি, তাঁদের প্রত্যেকের মধ্যেই দুর্গা বিরাজমান? মল্লিকা সেনগুপ্ত বহুদিন আগে লিখেছিলেন, “আমার দুর্গা নারীগর্ভের রক্তমাংস কন্যা।” কিন্তু তাঁর বার্তা শুধু দুই মলাটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গিয়েছে। এবছর উমা আরাধনার আগে সেই প্রশ্নই যেন ফের উসকে দিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।

[ আরও পড়ুন: কেরলে কেন নেই ‘মোদি ঝড়’? এই জবাবই দিলেন জন আব্রাহাম ]

দেবীপক্ষের সূচনায় এখন প্রহর গুনছে বাঙালি। উমা আসবেন। তারই প্রস্তুতি চলছে সর্বত্র। মাতৃরূপে, কন্যারূপে চলবে দেবীর আরাধনা। কিন্তু ‘রক্তমাংসের দুর্গা’? যাঁরা বাস্তবেই কারওর মা, কারওর মেয়ে, তাঁরা কি ভাল আছেন? আধুনিকতার ভেকধারী সমাজে, সত্যিই কি তারা স্বাধীন? নিজের বাড়ির অন্দরমহলের ভগিনী, জায়া, মা, মেয়েরা তো না হল একটু হলেও খোলা হাওয়া পান। কিন্তু সমকামী বা পতিতারা কি আজও সমাজে একধাপ উঠতে পেরেছে? এসব নিয়েই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে খোলামেলা পোস্ট করলেন অভিনেত্রী। প্রশ্ন তুললেন সমাজের কিছু অযৌক্তিক নিয়ম আর মহিলাদের অবস্থান নিয়ে।

Advertisement

swastika-durga-1

Advertisement

ছবির মাধ্যমে মহিলাদের অবস্থান তুলে ধরেছেন সৌরদীপ ঘোষ। তাঁরই মডেল স্বস্তিকা। সাতটি ছবিতে, সাতটি ভিন্ন রূপে দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রথম ছবির বিষয় কুমারী পুজো। এখানে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন আট বছরের কন্যাকেই কুমারী রূপে পুজো করা হয়? ২৮-এর যুবতী কেন নয়? তবে কি ঋতুস্রাবের রক্তকে ভয় পায় সমাজ? পরের ছবিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে মা কালীকে নিয়ে। তিনি তো শ্যামাঙ্গিনী। তাহলে সমাজে কালো মেয়ের কেন ভাগ্যে বঞ্চনা জোটে? গায়ের রংই কি সব? পরের ছবিতে স্বস্তিকার প্রশ্ন, বিয়ের জন্য মেয়েদের যোগ্যতা ‘সুশ্রী, ঘরোয়া, ফর্সা…’, অথচ পুরুষের কিন্তু এমন কোনও মাপকাঠি নেই। কেন?

[ আরও পড়ুন: কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় আদালতে গরহাজির সলমন, পিছল শুনানির দিন ]

পোশাক নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এর পরের ছবিতে। এখানে স্বস্তিকার সঙ্গে একই ফ্রেমে রয়েছেন স্যান্ডি সাহা। তাঁদের প্রশ্ন, জন্ম থেকেই অলিখিতভাবে স্থির হয়ে যায় মেয়ে মানেই শাড়ি পরবে, আর পুরুষের আবরণ স্যুট। সত্যিই কি এমনটা হওয়া উচিত? আমাদের মনে আরও একটা ধারণা আছে, গর্ভবতী মাত্রই সেই মহিলা দুর্বল। অথচ তিনিই যে শক্তির আধার, একথা ভেবে দেখে না কেউ। এক নতুন প্রাণকে পৃথিবীর আলো দেখাবেন যিনি, তিনি কেন দুর্বল হবেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে পরের ছবিতে। শেষের দুটি ছবি ট্রান্সজেন্টার আর সমাজের ‘পতিতা’দের নিয়ে। ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে ছুঁৎমার্গ আধুনিকসমাজে কিছু কম নেই। স্বস্তিকার আবেদন, সব বাঁধন ছিন্ন করে এবার সেই সব মানুষদের আলিঙ্গন করা হোক। শেষের ছবিটি সোনাগাছির। যেখানকার মাটি দিয়ে তৈরি হয় আমাদের আরাধ্য দেবী, তাঁরাই সমাজে ব্রাত্য। তাঁদের জন্য না হয় এবার খুলে যাক রুদ্ধদ্বার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ