সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উপলক্ষে সোমবার সকাল থেকেই মেতে উঠেছিল পুরী থেকে মাহেশ। স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে ইসকন-মায়াপুরের রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দিরে দেশি-বিদেশি ভক্তদের ঢল নামল। প্রায় ৫০ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন সেখানে। ১০৮ রকমের খাবার, ফল ও মিষ্টি নিবেদন করা হয়েছিল জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি সামনে। পুজোর পর তা বিলি করে দেওয়া হয় উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে। তবে শুধু মায়াপুর নয়, অনেকে ভিড় জমালেন শ্রীরামপুরের মাহেশেও।
[আরও পড়ুন- সংসারে সুখ সমৃদ্ধি চাইলে অম্বুবাচীতে এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না]
কথিত আছে, স্নানযাত্রার পরেই জ্বরে কাবু হয়ে পড়েন জগন্নাথদেব। তাই এইসময় গৃহবন্দি অবস্থায় থাকেন। রথ পর্যন্ত বিশ্রাম নেন। তাই ভক্তরা জগন্নাথ দেবের দর্শন পান না। এই কয়েকদিন পুজোও হয় না তাঁর। রীতিমত কম্বল চাপা দিয়ে পড়ে থাকেন জগতের নাথ। তবে রথযাত্রার দিন রাজবেশে রথে করে তিনি যাবেন মাসির বাড়িতে।
পবিত্র এই স্নানযাত্রার জন্য মায়াপুরে সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভক্ত। ঘি ও মধু থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফলের রস ও অসংখ্য জিনিস দিয়ে জগন্নাথকে স্নান করানো হয়। অদ্ভুত এই দৃশ্য কোনওভাবেই মিস করতে চাননি তাঁরা।
[আরও পড়ুন- দশহরার দিন পুণ্যার্জন করতে মেনে চলুন এই বিষয়গুলি]
ফণীর জেরে বিপর্যস্ত পুরীতেও সোমবার মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয় জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা। স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি ভিড় জমিয়ে ছিলেন বাইরের রাজ্যের ভক্তরাও। শত অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও এই দিনটা পুরীতে উপস্থিত হয়ে পবিত্র স্নানযাত্রা অংশ নেন তাঁরা।
কথিত আছে, জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে স্বয়ম্ভু মনুর যজ্ঞের প্রভাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন প্রভু জগন্নাথ। তারপর এই পূণ্যতিথিটিকে জগন্নাথদেবের জন্মদিন হিসেবে পালন করার নির্দেশ দেন মনু। সেই জন্মদিন উপলক্ষে পৌরাণিক কাল থেকে এই বিশেষ স্নান উৎসব পালিত হয়ে আসছে আজও।