Advertisement
Advertisement

Breaking News

চণ্ডীপাঠ

পাঠশালায় শেখানো হচ্ছে চণ্ডীপাঠ, শ্লোক শিখতে লম্বা লাইন পুরোহিতদের

পুরোহিতদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও শিখছে মন্ত্রপাঠ।

The priests are taking classes for Durga Puja at Asansol
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:September 30, 2019 7:07 pm
  • Updated:October 1, 2019 10:52 am

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: অনেকেই অভিযোগ তোলেন পুরোহিতরা এখন শুধু মন্ত্রোচ্চারণ করেন। কিন্তু মানে বোঝেন না। অনেক পুরোহিত আবার ঠিকমতো মন্ত্রোচ্চারণ করতে পারেন না বলেও অভিযোগ ওঠে। সেসব অভিযোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে এবার এগিয়ে এসেছে পুরোহিতরাই। ধুতি-পাঞ্জাবি পরে শুদ্ধ সংস্কৃত উচ্চারণে পুরোহিতরা বসে পাঠ নিচ্ছেন দুর্গা শ্লোকের। টোল পণ্ডিত তাঁদের শেখাচ্ছেন দুর্গাপুজোর কল্প, কর্ম, আর গুণ ভেদের পাঠ।

পেশাদার পুরোহিতরা তো আছেনই তার সঙ্গে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, এমবিএ ছাত্র, সংস্কৃতে অনার্স নিয়ে সেকেন্ড সেমিস্টারে পাঠরত বা প্রাক্তন মাইনিং ইঞ্জিনিয়াররাও শিখছেন শ্লোক। চণ্ডীমণ্ডপে প্রতিমা গড়ে চলেছেন মৃৎশিল্পী সেখানে বসেই চলছে পুরোহিতদের পাঠশালা। ছাত্ররা নিয়ম করে আসছেন টোলে। সালানপুরের এথোড়া গ্রামে চক্রবর্তীদের দুর্গামন্দির শুরু হয়েছে এই চতুষ্পাঠী টোল। ছোরা, বোপদেব চতুষ্পাঠির টোল পণ্ডিত কার্তিক মুখোপাধ্যায়ের কাছেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন শিল্পাঞ্চলের পুরোহিতরা।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: পুজোয় দুই বাংলার বিভেদ ভুলিয়ে দেন ৪৭৬ বছরের পুরনো নস্করি মা ]

তবে এই টোলের পিছনে আরও কারণ রয়েছে। চণ্ডীপাঠ থেকে পুষ্পাঞ্জলি, বাংলার পুরোহিতরা যজমানদের ডাকে পৌরহিত্য করলেও প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে তাঁরাও। বিয়ে পৈতে শ্রাদ্ধ থেকে দুর্গা শ্লোক- একই ছন্দে শুনতে চাইছেন না আর কেউ। তাই নিত্যপুজো থেকে দুর্গাপুজো করেন সেই পুরোহিতরা সময়ের দাবি মেনে তাঁরাও এখন ছুটছেন টোল-সংস্কৃতির পাঠশালায়। দুর্গাপুজোর মুখে বেদ, বেদান্ত, স্মৃতি, ন্যায়শাস্ত্র, ব্যকরণ শিক্ষা নিয়ে এখন ব্যস্ত খনি শিল্পাঞ্চলের পুরোহিতরা।

Advertisement

এমনিতে সারা বছরই নানা পাঠ চলে তবে দুর্গাপুজোর আগে স্পেশাল ক্লাস শুরু হয়েছে। পাঠ দেওয়া হচ্ছে ৭ টি কল্পের প্রকারভেদের। স্নান পুজো বলি ও হোমের চতুষ্কর্মীয় কর্মভেদ শেখানো হয়েছে। পুরোহিতদের জন্য রয়েছে ‘পৌরহিত্য বার্তা’। এগুলি সবই দুর্গা পুজোর পাঠ। সঙ্গে রয়েছে মহিষাসুরমর্দিনী চণ্ডীপাঠ। টোল পণ্ডিত কার্তিক মুখোপাধ্যায় বলেন, “চাল-কলা-বাঁধা-বিদ্যা” পৌরহিত্য থেকে বেরিয়ে সুস্পষ্ট, ব্যাকরণগত ত্রুটিহীন মন্ত্রচারণের সময় এসেছে এবার। সংস্কৃত এমন একটা ভাষা যা অতি সমৃদ্ধ ও প্রাচীন। তাকে অবহেলা করাটা সভ্যতারই ক্ষতি। এই ভাবনা এখন সবার মনেই গেঁথেছে। তাই সাড়া মিলছে।

[ আরও পড়ুন: মহালয়ায় চণ্ডীপাঠ-তর্পণ, পিতৃপুরুষের স্মৃতিতে বুঁদ বাঙালি ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ