সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শৌচালয় আর ব্যবহারের যোগ্য নেই। শূন্যে ভেসে ভেসে শরীরে রেচন পদার্থ বের করে দেওয়ার উপায় নেই তেমন। ফলে ডায়াপার ছাড়া ভরসাই বা কী? কিন্তু সেটাই বা কতক্ষণ পরে থাকা যায়? মহাবিভ্রাটে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (International Space Station) বাসিন্দারা। শৌচালয় ব্যবহারের জন্য পৃথিবীতে ফেরার জন্য মরিয়া মহাকাশচারীরা। কিন্তু সেখানেও সমস্যা। খারাপ আবহাওয়ার কারণে কিছুতেই স্পেস এক্সের (Space X) রকেট তাঁদের আনতে পৃথিবী থেকে যেতে পারছে না।
গত ছ মাস ধরে মহাকাশ স্টেশনে থেকে গবেষণার কাজ করছিলেন চার নভোশ্চর। ছিলেন জাপানের তিনজন এবং ইউরোপের এক মহাকাশচারী। কাজ প্রায় শেষ। এবার পৃথিবীতে ফেরার পালা। কিন্তু ফেরা এত সহজ নয়। কথা ছিল, নাসার তরফে গত বুধবার ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে স্পেস এক্সের একটি রকেট পাঠানো হবে মহাকাশ স্টেশনে। সেই রকেটে চড়েই পৃথিবীতে পা রাখবেন চারজন। কিন্তু আচমকা আবহাওয়া এত খারাপ হয়ে গেল যে বুধবার রকেটের উৎক্ষেপণ আর হল না। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। রকেটটি কবে পাড়ি দিতে পারবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় নাসা (NASA)।
এর মধ্যে মহাকাশ স্টেশনেও মহাবিপত্তি। একটি শৌচালয় খারাপ হয়ে গিয়েছিল আগেই। আরেকটি কোনওক্রমে ব্যবহারযোগ্য ছিল। কিন্তু শেষবেলায় তাও খারাপ হয়ে গিয়েছে। আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। মহাশূন্যে ভেসে থাকতে তাই ডায়াপার ব্যবহার করছেন মহাকাশচারীরা। কিন্তু টানা ২০ ঘণ্টা পেরিয়েও সমস্যার কোনও সমাধান নেই। এখনও ফেরার রকেট পৌঁছয়নি সেখানে।
এই টিমের মহিলা সদস্য মেগান ম্যাকআর্থার মেসেজ পাঠিয়ে এই সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে তাঁর কাতর অনুরোধ, এভাবে আর সময় কাটানো সম্ভব হচ্ছে না। যত দ্রুত সম্ভব পৃথিবীতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। এও বলছেন, ”মহাকাশে থাকতে হলে অনেক ছোট-বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। সববরক পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রশিক্ষণ আছে। কিন্তু এই ব্যাপারটি বড়ই কষ্টদায়ক।” ঘটনা শুনে অনেকেই বলছেন, মর্ত্যে হোক বা মহাকাশে – শৌচালয়ের গুরুত্ব সর্বত্রই সমান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.