Advertisement
Advertisement

Breaking News

flood

নদীর জল মাপতে নয়া যন্ত্র, বন্যা নিয়ন্ত্রণে দিশা দেখিয়ে তাক লাগাল হুগলির কলেজ পড়ুয়া

কীভাবে কাজ করবে নয়া যন্ত্র?

Bengal college student invents flood warning system | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 6, 2022 3:35 pm
  • Updated:July 6, 2022 3:35 pm

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ভারতের মতো নদীপ্রধান দেশে বন্যা প্রতিবছরের ‘রোজনামচা’। বন্যার কবলে প্রাণ যায় বহু মানুষের। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তিহানি ঘটে। এবার সেই বন্যা নিয়ে আগাম সতর্ক করার অত্যাধুনিক প্রযুক্ত আনল বাংলার ছেলে। বন্যার আগেই বিপজ্জনক নদীগুলির জলের উচ্চতা মাপার অত্যাধুনিক যন্ত্র তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন হুগলির (Hooghly) ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক ছাত্র। এই যন্ত্রের সাহায্যে বন্যার আগেই বন্যাপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের আগাম সতর্ক করা সম্ভব হবে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো যাবে।

চন্দননগরের বাসিন্দা অয়ন বাগ। হুগলির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রিক্যাল কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। নদীর জলের উচ্চতা মাপার এই যন্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্লাড মনিটরিং সিস্টেম’। তাঁর এই কীর্তিতে কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অধ্যাপক, সকলেই গর্বিত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘কালী’ পোস্টার নিয়ে মন্তব্যের জেরে বাড়ছে দূরত্ব? তৃণমূলকে টুইটারে ‘আনফলো’ করলেন মহুয়া]

প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বর্ষাতে হুগলির খানাকুল, গোঘাট ও আরামবাগ প্লাবিত হয়। বিশেষ করে ডিভিসি ও পঞ্চায়েত জলাধার থেকে যখন লক্ষ-লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয় তখন বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এই সকল ক্ষেত্রে অয়নের তৈরি যন্ত্রটিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। সেই জলের উচ্চতা মাপার সঙ্গে তাল রেখে নিয়ন্ত্রিতভাবে যদি জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়া হয় তবে অনেক ক্ষেত্রেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

Advertisement

কী করে ব্যবহার করা যাবে এই যন্ত্রটি? এ বিষয়ে অয়ন জানান, প্রতি ১৫ কিলোমিটার অন্তর একটি পাইপে এই যন্ত্রটি ইনস্টল করে জলের মধ্যে পাইপটি বসিয়ে দেওয়া হবে। পাইপটি জলের মধ্যে থাকলেও যন্ত্রটি জলের কিছুটা উপরে থাকবে। আর এই যন্ত্রের সঙ্গে প্রশাসনিক দপ্তরের সার্ভারের যোগ থাকবে। ফলে জলের উচ্চতার পরিমাপ করতে প্রশাসনিক কর্তাদের ছুটতে হবে না। তারা প্রশাসনিক দপ্তরে বসেই বিপজ্জনক নদীগুলির জলের উচ্চতা মাপতে পারবেন। জানতে পারা যাবে কোন নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।

[আরও পড়ুন: ‘কালী’ পোস্টার নিয়ে মন্তব্যের জেরে বাড়ছে দূরত্ব? তৃণমূলকে টুইটারে ‘আনফলো’ করলেন মহুয়া]

সে ক্ষেত্রে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলগুলিতে এবং বাঁধের উপর বসবাসকারী মানুষজনদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাতে অনেকটা সময় পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই এই যন্ত্রটিকে কোনওভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কাজেই লাগানো যায় কিনা সে নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে হুগলি জেলা প্রশাসন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ