Advertisement
Advertisement
ব্রিকেট

ধানের গোড়া পুড়িয়ে মাটি দূষণ, বিকল্প জ্বালানির মাধ্যমে প্রতিরোধের উদ্যোগ

বর্ধমান জেলা প্রশাসনের এই কাজে সাহায্য করবে খড়্গপুর আইআইটি।

Briquette, an alternative fuel can be produced from burning crops
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 2, 2019 1:11 pm
  • Updated:November 2, 2019 6:17 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: কৃষিতে যন্ত্রনির্ভরতা বেড়েছে। কম খরচে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে আয় বেড়েছে চাষির। কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে এসে গিয়েছে মাটি দূষণ। যা মূলত ধান কাটার পর জমিতে পড়ে থাকা ধানের গোড়া বা নাড়া এবং খড় পুড়িয়ে দেওয়ার ফলে ঘটছে। যার ফলে ধীরে ধীরে কৃষিজমি বন্ধ্যা হয়ে পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে।। তা থেকে মুক্তি পেতে নির্দিষ্ট প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।
ধান কাটার পর জমিতে পড়ে থাকা নাড়া এবং খড় থেকে ব্রিকেট (briquette) কারখানা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খড় থেকে তৈরি একপ্রকার জ্বালানিকে বলা হয় ব্রিকেট। আর এই কাজে জেলা প্রশাসন তথা কৃষি দপ্তর খড়্গপুর আইআইটি-র সহায়তা নিচ্ছে। জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় প্রাথমিকভাবে তিনটি ব্লককে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে ব্রিকেট কারখানা গড়া হবে। গলসি-২, রায়না-১ ও রায়না-২ ব্লকে ব্রিকেট কারখানা গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

[ আরও পড়ুন: দূষণের জেরে গ্যাস চেম্বার দিল্লি, সরকারি নির্দেশে বন্ধ সমস্ত স্কুল]

এ ব্যাপারে কৃষকদের সচেতন করার পাশাপাশি নাবার্ড-এর অধীনে থাকা বিভিন্ন স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী, ফার্মার্স প্রডিউসার ক্লাবের মাধ্যমে ব্রিকেট কারখানা তৈরির প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলার উপকৃষি অধিকর্তা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, জমিতে নাড়া বা খড় পোড়ানোর ফলে মাটি ও প্রকৃতি দূষিত হয়ে যাচ্ছে। চাষিদের তা থেকে বিরত থাকার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে ওইসব নাড়া বা খড় সংগ্রহ করে ব্রিকেট তৈরি করা হলে বিকল্প আয়েরও ব্যবস্থা হবে।

Advertisement

জগন্নাথবাবু বলেন, “জেলা শাসক এই ব্যাপারে খড়্গপুর আইআইটির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ফার্মার্স ক্লাব ব্রিকেট কারখানা তৈরি করলে সহায়তা করা হবে।” এই ব্রিকেট মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থায় বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সরকারি সংস্থাগুলি জেলা প্রশাসনের তরফে তাদের সঙ্গেও কথা বলেছে। যারা ব্রিকেট তৈরি করবেন তাঁদের কারখানা তৈরি থেকে ব্রিকেটের বিপণনের প্রশাসন সবরকম সহায়তা করবে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন:‘পরিবেশ বাঁচানোর লড়াই পুরস্কারের জন্য নয়’, অর্থমূল্য ফেরাল গ্রেটা থুনবার্গ]

প্রাথমিকভাবে তিনটি ব্লককে চিহ্নিত করে সেখানে তা গড়তে চাইছে কৃষি দফতর। তারপর ধীরে ধীরে অন্যত্রও তা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ব্রিকেট তৈরির কারখানা গড়ে উঠলে চাষীরাও আর মাঠে খড় বা নাড়া পোড়াবেন না। তার আগেই তা সংগ্রহ করে ব্রিকেট কারখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ফলে দূষণ ছড়াবে না। আবার ব্রিকেট বিক্রি করে বিকল্প কর্মসংস্থানও ঘটবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ