নন্দন দত্ত, সিউড়ি: জাতীয় পরিবেশ আদালতের (National Green Tribunal) নির্দেশ মেনে এখনও তারাপীঠ (Tarapith) শ্মশানে চালু হয়নি বৈদ্যুতিক চুল্লি। প্রকাশ্যে কাঠের চিতায় পোড়ানো হচ্ছে শবদেহ। এদিকে এখন তেমন যাত্রী না থাকা সত্বেও অপরিষ্কার তারাপীঠ। তাই ফের জাতীয় পরিবেশ আদালতে যাওয়ার হুমকি দিলেন অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল এইড ফোরামের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। যদিও জেলাশাসক বিধান রায়ের বক্তব্য, “তারাপীঠের বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। আমরা এজেন্সিকে চার্জ বুঝিয়ে দিয়েছি। ডোমেদের সমস্যা নিয়ে চলতি সপ্তাহে বৈঠক হবে। এছাড়াও কিছু সংস্কারের প্রশ্নও আছে।”
প্রসঙ্গত, তারাপীঠের দূষণ নিয়ে আগে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করেছিলেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। আদালতে জয়দীপবাবু জানিয়েছিলেন, তারাপীঠে যত্রতত্র হোটেল গজিয়ে উঠেছে। অধিকাংশ হোটেলের নোংরা জল দ্বারকা নদীতে মিশে দূষণ ছড়াচ্ছে। যেখানে-সেখানে নোংরা ফেলার ফলেও দূষণ ছড়াচ্ছে। শ্মশানের চারপাশ খোলা রেখে মৃতদেহ দাহ করা হচ্ছে। তাতে শিশুমনেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।
আদালত তারাপীঠের দূষণ রোধে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছিল। প্রতিটি হোটেলকে তাদের হোটেলের জল পরিস্রুত করে নদীতে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রাস্তাঘাটে আবর্জনা ফেলার উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছিল। শ্মশানে যেখানে মৃতদেহ দাহ করা হয়, সেখানে ঘিরে ফেলার পাশাপাশি বৈদুতিক চুল্লি নির্মাণের নির্দেশও দেওয়ায় হয়েছিল। নির্দেশের পর প্রথম দিকে রাস্তাঘাটের আবর্জনা তুলে ফেলা হলেও এখন ফের নোংরায় মুখ ঢাকছে তারাপীঠ। প্রথম দিকে শ্মশান চত্বর টিন দিয়ে ঘিরে ফেলা হলেও এখন আর তা নেই বলে অভিযোগ।
বৈদ্যুতিক চুল্লি করা হলেও আজও তা চালু করা যায়নি স্থানীয় জটিলতার জেরে। গত সপ্তাহে রাজ্যে করোনা (Corona Virus) নিয়ে বিধিনিষেধ জারি থাকার মধ্যেই জয়দীপবাবু তারাপীঠ যান। তিনি বলেন, “তারাপীঠের দূষণ রোধে আমি মামলা করেছিলাম। কিন্তু সেই নির্দেশ সম্পূর্ণ মানা হয়নি। এখনও রাস্তাঘাট অপরিষ্কার। নোংরা জল দ্বারকা নদীতে সরাসরি পড়ছে। এখনও বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু না করার ফলে দূষণ বাড়ছে। প্রশাসন আদালতের নির্দেশ না মানলে ফের আমি আদালতের দ্বারস্থ হব। তারা মায়ের ভূমিকে এভাবে দূষিত করা চলবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.