Advertisement
Advertisement
ইসরো

চন্দ্রপৃষ্ঠে ‘সফট ল্যান্ডিং’ করবে ISRO’র ল্যান্ডার, ভবিষ্যতের মডেল বানাচ্ছেন যাদবপুরের গবেষকরা

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে সাহায্য করছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা।

JU Helping ISRO's Soft Landing Missions To Moon, Other Planets
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:June 26, 2020 5:57 pm
  • Updated:June 26, 2020 5:57 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণায় নয়া দিগন্তের পথে ভারত। সম্প্রতি বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্য মহাকাশ গবেষণার দরজা আনলক করেছে কেন্দ্র। এবার বাংলাও কেন্দ্রের মহাকাশ গবেষণায় শামিল হতে চলেছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO’র সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল যাদপুর বিশ্ববিদ্যালয়। চন্দ্রাভিযানের আগামী মিশন এবং অন্যান্য মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রিক প্রজেক্টের জন্য এবার ইসরোকে সাহায্য করবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, চন্দ্রপৃষ্ঠে সফল অবতরণের জন্য ভবিষ্যত প্রজন্মের সফট ল্যান্ডিংয়ের ল্যান্ডার এবং রোভার তৈরির জন্য গবেষণায় সাহায্য করবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যাতে আগের চন্দ্রাভিযানের ল্যান্ডার বিক্রমের ক্র্যাশ করার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।

Vikram lander

Advertisement

জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক ইসরোর এই প্রজেক্টে কাজ করছে। চন্দ্র বা ভবিষ্যতে অন্য কোনও গ্রহপৃষ্ঠে সফল অবতরণ করতে পারে ল্যান্ডার সেই বিষয়ে গবেষণা চলছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য ইসরোর সূর্যাভিযান আদিত্য এল ১ মিশন আপাতত স্থগিত, তাই সময়ের উপযুক্ত ব্যবহারের জন্য এই গবেষণায় মনোনিবেশ করেছে ইসরো। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং এই প্রজেক্টের ইনভেস্টিগেটর সায়ন চট্টেপাধ্যায় সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ইসরোর তত্ত্বাবধানে তাঁদের গবেষণার মূল বিষয় হল গ্রহপৃষ্ঠে প্রতিকূলতার মধ্যেও ল্যান্ডারের সফট ল্যান্ডিং বা অবতরণ সফল করা। ল্যান্ডারের সুক্ষ ইলেকট্রনিক্স পার্টসে যাতে কোনও ক্ষতি না হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বেসরকারি সংস্থার জন্য মহাকাশ গবেষণার দরজা ‘আনলক’ করল কেন্দ্র]

Lander-Vikram

ল্যান্ডার অবতরণের সময় এবার স্পাইরাল বা সর্পিল ভঙ্গিতে নামবে গ্রহপৃষ্ঠে। অধ্যাপক চট্টোপাধ্যায়ের ভাষায়, সর্পিল কারণ উপর থেকে ভূপৃষ্ঠের উপর কোনাকুনি দৃষ্টি থাকে ল্যান্ডারের। অবতরণের সময়ও তাই। অনেকটা ঠিক ঘুড়ি যেভাবে হাওয়ায় এক কোণ ধরে গোত্তা খেয়ে আরেকটা ঘুড়ি কাটতে যায়। এই নয়া মডেল তৈরি করবেন গবেষকরা। আর ইসরোর ইঞ্জিনিয়াররা তার ফ্যাব্রিকেশন করবেন বলে জানা গিয়েছে। ইসরোর তরফে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র চন্দ্রাভিযান নয়, সৌরমণ্ডলের অন্যান্য গ্রহে অভিযানের ক্ষেত্রেও এই মডেলের ল্যান্ডারই ব্যবহার করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. অমিতাভ গুপ্ত। তিনিও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। প্রসঙ্গত, গত বছর মিশন চন্দ্রযানের সময় ল্যান্ডার বিক্রমের শেষমূহূর্তে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এই গবেষণা শুরু করে ইসরো।

[আরও পড়ুন: আকাশ থেকে তীব্র গতিতে এসে পড়ল ধাতব চাঁই, বিকট শব্দে কাঁপল এলাকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ