Advertisement
Advertisement
Cancer

মহাশূন্যে জোরকদমে চলছে ক্যানসার গবেষণা, জানাল নাসা

আন্তর্জাতিক অনুমোদন পেল চন্দ্রযানের চাঁদে ল্যান্ডিং পয়েন্ট ‘শিবশক্তি’।

NASA touts space research in anti-cancer fight
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:March 26, 2024 2:26 pm
  • Updated:March 26, 2024 2:26 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাশূন্যে ক‌্যানসার-গবেষণায় নয়া দিগন্ত। সৌজন্যে নাসা। পৃথিবী থেকে এই মারণ ব‌্যধিকে নির্মূল করতে দীর্ঘ সময় ধরেই চলছে গবেষণা। নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। কিন্তু মহাশূনে‌্যও যে তা চলছে জোরকদমে, তা কে-ই বা জানত! অথচ বিজ্ঞানী-গবেষকদের দাবি, এই ধরনের গবেষণা মহাশূনে‌্য হয় আরও ভালোভাবে। আর তাতে মেলে সুদূরপ্রসারী এবং অনুকূল ফলাফলও। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এমনটাই দাবি করেছেন নাসার আধিকারিকরা। আর এই সমস্ত উদে‌্যাগের কৃতিত্ব তঁারা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে।

ওয়াশিংটনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নভশ্চর তথা চিকিৎসক এবং সেনার প্রাক্তন কপ্টার-চালক ফ্র‌্যাঙ্ক রুবিওর স্বীকারোক্তি, ‘‘মহাশূন‌্য হল গবেষণার জন‌্য অন‌্যতম আদর্শ এবং ব‌্যতিক্রমী জায়গা।’’ ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার ঊর্ধ্বে বিচরণকারী, নাসার (NASA) ইন্টারন‌্যাশনাল স্পেস স্টেশনে (আইএসএস) বেশ কিছু সময় ধরে ক‌্যানসার গবেষণা চালিয়েছেন বছর আটচল্লিশের ফ্র‌্যাঙ্ক। আর ফলাফলে তিনি চমৎকৃত। ফ্র‌্যাঙ্কের কথায়, ‘‘মহাশূনে‌্য ক‌্যানসার (Cancer) কোষের গবেষণা পৃথিবীতে বসে গবেষণার থেকে আরও দ্রুত, আরও ভালো হয়। মহাশূনে‌্য কোষের বয়স দ্রুত বাড়ে, ফলে গবেষণার হারও দ্রুত হয়। আর কোষের কাঠামোও অনেক বেশি নিখাদ থাকে।’’

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিজেপি ছাড়ছেন রুদ্রনীল! লোকসভায় টিকিট না পেয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত?]

অন‌্যদিকে নাসার প্রধান বিল নেলসনের বক্তব‌্য, ‘‘পৃথিবীতে মহাকর্ষ বলের জন‌্য কোষগুলি জুড়ে থাকে, মহাশূনে‌্য তা হয় না। সেখানে কোষগুলি আলাদাভাবে ভেসে বেড়ায়। ফলে তাদের নিরীক্ষণ করা সহজ হয়। আর তারই ফলে মহাশূনে‌্য তৈরি করা ক‌্যানসার প্রতিরোধী ওষুধগুলি আরও সক্রিয়, আরও কার্যকরী হয়। ’’ প্রসঙ্গত, ফার্মা সংস্থা মার্ক মহাশূনে‌্য আইএসএস-এর সঙ্গে গবেষণা চালিয়ে ‌ক‌্যানসার প্রতিরোধী ওষুধ তৈরি করেছে। ওষুধুটির নাম ‘কেট্রুডা’।

Advertisement

এদিকে, ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট চঁাদের দক্ষিণ মেরুর যে অংশে তৃতীয় চন্দ্রযানের (Chandrayaan-3) বিক্রম ল‌্যান্ডার অবতরণ করেছিল, সেই জায়গাটিকে ‘শিবশক্তি পয়েন্ট’ বলে আখ‌্যায়িত করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সেই নামকরণ এবার পেল আন্তর্জাতিক অনুমোদন। ইন্টারন‌্যাশনাল অ‌্যাস্ট্রোনমিক‌্যাল ইউনিয়নের (আইএইউ) তরফে ঘটনার সাত মাস পর এল এই ‘মান‌্যতা’। জানা গিয়েছে, ইসরোর তৃতীয় চন্দ্রযানের চঁাদে ‘ল‌্যান্ডিং পয়েন্ট’টির ‘স্টেশিও শিবশক্তি’ নামকরণ আইএইউ-র মান‌্যতা পায় গত ১৯ মার্চ। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের ‘গেজেটার অফ প্ল্যানেটারি নোমেনক্লিচার’ এ শিবশক্তি নামকরণকে অনুমোদন দেওয়ার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, অন্তর্জাতিক মঞ্চের তরফে এই অনুমোদন দেশের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে অন‌্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। ২০২৩ সালের ২৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী বেঙ্গালুরুতে এ-ও ঘোষণা করেছিলেন যে, ২৩ আগস্ট দিনটি এবার থেকে ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’ (ন‌্যাশনাল স্পেস ডে’) হিসাবে পালন করা হবে।

[আরও পড়ুন: রামরাজ্যেই প্রার্থী ‘রাম’ অরুণ গোভিল, বিজেপির টিকিটে লড়বেন কঙ্গনাও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ