Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভাইপার

পথ দেখিয়েছে ‘প্রজ্ঞান’, চন্দ্রপৃষ্ঠে জলের খোঁজে নাসার রোবট ‘ভাইপার’

২০২৪ সালে নভোশচর পাঠানোর আগেই ভাইপারের মাধ্যমে চাঁদের বিশদ তথ্য পেতে চাইছে নাসা।

NASA’s VIPER rover in development for scouting mission to moon’s south pole
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 31, 2019 12:22 pm
  • Updated:October 31, 2019 12:45 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের চন্দ্রযান ২ অভিযানের রোভার ‘প্রজ্ঞান’-এর যা করার কথা ছিল, সেই দায়িত্বই আরও বিশদে পালন করতে এবার চাঁদে যাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তৈরি রোবট ভাইপার। যাতে ভবিষ‌্যতে মঙ্গলে মানব অভিযানের স্বার্থে চাঁদে ঘাঁটি গাড়ার স্বপ্নে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া যায়।

চন্দ্রযান ২-এর ল‌্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে চাঁদের মাটিতে ৫০০ মিটার এলাকা ঘুরে দেখে পরীক্ষা করার কথা ছিল প্রজ্ঞানের। মাটি খুঁড়ে সংগ্রহ করার কথা ছিল জল বরফের অস্তিত্বের প্রমাণ। এবার সেই কাজই করবে ভাইপার। তবে শুধুমাত্র ৫০০ মিটার এলাকায় নয়। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ঘুরে বেড়িয়ে অজস্রবার মাটি খুঁড়ে তুলে আনবে চাঁদের জল সম্পদের তথ‌্য। যা দিয়ে চাঁদে কোথায় কোথায় জলবরফ আছে, আর মাটির কতখানি নিচে তার নাগাল পাওয়া যাবে তার একটি স্পষ্ট মানচিত্রও তৈরি করে ফেলার ব‌্যাপারে প্রায় নিশ্চিত নাসা। আর এই মানচিত্রকে কাজে লাগিয়েই তারা হাতে পেতে চাইছে চাঁদের মাটিতে অক্সিজেন আর হাইড্রোজেনের সম্পদ। যা চাঁদে নামা অভিযাত্রীদের শ্বাস প্রশ্বাসে সাহায‌্য করবে তো বটেই। সেই সঙ্গে চাঁদ থেকে মঙ্গলে পাড়ি দেওয়া রকেটের জ্বালানি হিসাবেও কাজে লাগানো যাবে।

Advertisement

২০০৯ সালেই চন্দ্রযান ১ স্পষ্ট করে জানিয়েছিল চাঁদে জলের অনুর অস্তিত্বের কথা। মুন ইমপ‌্যাক্ট প্রোবের এক্সপ্লোরার চেস প্রথম আবিষ্কার করে সেই জলকণার অস্তিত্ব। আবার এই চন্দ্রযানেই ছিল নাসার মিনারোলজি ম‌্যাপার এম-থ্রি। ভারতের চেসের পর জলকণার অস্তিত্ব ধরা পড়ে এই এম-থ্রির রিমোট টেকনোলজিতেও। পরে এমথ্রি-র পাওয়া তথ‌্য বিশ্লেষণ করে নাসা জানায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিপুল জলসম্পদ রয়েছে। কিছু না হোক কয়েক মিলিয়ন টন সেই জলসম্পদের পরিমাণ আর এই বিপুল সম্পদ যদি একবার হাতে আসে তবে চাঁদে ঘাঁটি গাড়া ও মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর কাজ অনেকটাই এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

Advertisement

২০২২ সালে চন্দ্রাভিযানের এমনই পরিকল্পনা নিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ২০২৪ সালে আর্তেমিস অভিযানে প্রথম মহিলা ও একজন পুরুষ নভোশ্চরকে চাঁদের মাটিতে নামানোর যে পরিকল্পনা নাসার রয়েছে তার আগেই ভাইপার রোবট যানের থেকে বিশদ তথ‌্য হাতে পেতে চাইছে নাসা। আপাতত এই রোবট প্রাথমিকভাবে ১০০ দিনের তথ‌্য হাতে তুলে দেবে নাসার। তবে তারপরও সেটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কাজ করবে কি না, সে বিষয়ে খোলসা করে কিছু জানায়নি এই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

নাসা জানিয়েছে, ২০২২ সালের ওই চন্দ্রাভিযানে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে এই ভাইপার রোবট। চাঁদে জল বরফের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে এবং চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করার জন‌্য তার সঙ্গে থাকবে চারটি যন্ত্র। যার মধ্যে অন‌্যতম হল একটি বিশাল মাপের ড্রিলার। দক্ষিণ মেরুর বিভিন্ন জায়গায় চাঁদের মাটির কতটা নিচে জল বা জল বরফ আছে তার সন্ধান করতে সাহায‌্য করবে এই ড্রিলার। যা আগামী ২০২৪-এ আর্তেমিস অভিযানের দুই মার্কিন নভোশ্চরের পানীয় জলের সমস‌্যা মেটাতেও সাহায‌্য করবে বলে আশা নাসার।

এপ্রসঙ্গে উল্লেখ‌্য, চন্দ্রযান১ চন্দ্রপৃষ্ঠে জলের খোঁজ আগে পেলেও নাসা তাদের এমথ্রি-র জল খুঁজে পাওয়ার ঘোষণা একদিন আগে করেছিল। যদিও ভারতের চন্দ্রযান১-ই যে আগে জল খুঁজে পেয়েছে সে ব‌্যাপারে এখন আর সন্দেহ নেই। কিন্তু, চাঁদে নেমে জলের সন্ধান করার ব‌্যাপারে একটুর জন‌্য পিছিয়ে গেল ভারত। চন্দ্রযান ২-এর ল‌্যান্ডার বিক্রম সফট ল‌্যান্ডিংয়ে সফল হলে চাঁদের মাটিতে নেমে জল খোঁজার ব‌্যাপারেও নাসার ভাইপারকে টেক্কা দিত চন্দ্রযান২-এর প্রজ্ঞান রোভার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ