Advertisement
Advertisement

Breaking News

আন্টার্কটিকা

গলছে পুরু বরফের চাঁই, রেকর্ড ভেঙে আন্টার্কটিকায় তাপমাত্রার পারদ ছুঁল ১৮ ডিগ্রি

মহাপ্লাবনের পথে এগিয়ে চলেছে সভ্যতা, বলছেন পরিবেশবিজ্ঞানীরা।

Record temparature rises in Antarctica, melting ice raises worry
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 9, 2020 4:36 pm
  • Updated:February 9, 2020 4:36 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উষ্ণায়নের যুগে দাঁড়িয়ে নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে পৃথিবীতে। এবার দক্ষিণ মেরুর আন্টার্কটিকার তাপমাত্রা সেই সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে অনেকটা বাড়িয়ে দিল উদ্বেগ। আপাতভাবে চাঁই চাঁই বরফের স্তূপে ঢেকে থাকা আন্টার্কটিকা মহাদেশের পারদ গিয়ে দাঁড়াল ১৮.৩ ডিগ্রিতে। ১৯৬১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত যা সর্বোচ্চ।

সুমেরু বা উত্তর মেরুর তুলনায় কুমেরু প্রদেশের বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ এখনও পর্যন্ত অনেকটাই নাগালের মধ্যে। সেখানে অনেক যন্ত্রপাতি বসানোর সুযোগ থাকায় প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা প্রায় নিখুঁতভাবেই ধরা পড়ে। সম্প্রতি তাতেই ধরা পড়েছে যে কুমেরুর উত্তরদিকের তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ১৮ ডিগ্রির বেশি। ২০১৭ সালে এই এলাকার উষ্ণতা ছিল ১৭ ডিগ্রি, এবার তাকেও ছাপিয়ে গেল।

 [আরও পড়ুন: রুখবে সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি, বিশ্বের প্রথম বুলেটপ্রুফ হেলমেট বানিয়ে নজির ভারতীয় মেজরের]

বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি গলিয়ে দিচ্ছে বরফের পুরু স্তর। বরফগলা জলে উপচে পড়ছে সমুদ্র। পরিবেশবিদরা বলছেন, এই হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে গলনের হার বাড়বে হু হু করে। যা মহাপ্লাবন পর্যন্ত তৈরি করতে পারে। পরিবেশবিদ অর্ক চৌধুরির কথায়, “১৯৯০-৯১ সাল থেকে দক্ষিণ মেরুকে এসব বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছিল। কেউ কানে তোলেনি। কার্বন মনোক্সাইড ও ক্লোরো ফ্লুরো কার্বনের ব্যাপক বৃদ্ধিতেই এই হারে বাড়ছে তাপমাত্রা। আগে হাজার টন বরফ গলত, আর এখন এই গলনের পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টন।” সেই ব্যাপক পরিমাণ বরফ গলে যাওয়াতেই শেষের সেদিনের ইঙ্গিত দেখছেন তাঁরা।

antartica-sea

মাস দুয়েক আগে নরওয়ের উপকূলীয় অঞ্চলে সমুদ্রের জল প্রায় গলার কাছে চলে এসেছিল বলে একটি রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে। যা দেখে পরিবেশবিদরা হিসেব কষতে শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের ধারণা, আর ২০০-২৫০ বছরের মধ্যে ফিলিপিন্স-সহ সমুদ্রের তীরবর্তী অন্যান্য দেশগুলি ডুবতে শুরু করবে। উষ্ণায়নে জলতল বৃদ্ধিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দক্ষিণ আফ্রিকার।

অর্ক চৌধুরি বলছেন, “আগে নোয়ার নৌকার গল্প আমাদের রূপকথা মনে হত। এখন আর মনে হয় না, এখন আতঙ্ক হয়। এটা উপকথায় পরিণত হয়েছে। নৌকায় ভেসে ভেসে নোয়া নামের কোনও এক মেয়ে সবাইকে উদ্ধার করবে, এইদিনও দেখতে হতে পারে। এই তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে এমন একটা জায়গায় পৌঁছবে, যেখানে সমস্ত বরফ গলে মহাপ্লাবন চাক্ষুষ করতে হবে আমাদের। তারপর আবার পৃথিবী শীতল হতে শুরু করবে। জল জমে বরফের স্তূপে পরিণত হবে। ফিরে আসতে পারে তুষার যুগ। ” সেই দিন হয়ত আর খুব বেশি দূরে নেই। আন্টার্কটিকার রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রার পারায় সেই ইঙ্গিতই স্পষ্ট।

 [আরও পড়ুন: পৃথিবীতে মাত্র এক মাস, বাকি বছরটা শূন্যে ভেসে থেকে নয়া রেকর্ড মহিলা নভোচারীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ