সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক ইনিংসে একজন ব্যাটসম্যানের হাজার রান। ক্রিকেট দেখেছে। ছ’বলে ছ’টা ছয়। ক্রিকেট তা-ও দেখেছে। টেস্টের এক ইনিংসে একজন বোলারই নিচ্ছে দশ উইকেট। তারও ক্রিকেট সাক্ষী। কিন্তু এক ওভারে ৪৩ রান? না, এই বিরল ঘটনা আগে কখনও দেখেনি ক্রিকেট। কিন্তু নিউজল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্ট বনাম সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাচ সেই অভাবটাও পূরণ করে দিল।
দিনের শুরুতে যা ছিল সাধারণ একটা লিস্ট এ ক্রিকেট ম্যাচ। কিন্তু দিনের শেষে সেই ম্যাচটাই নাম লিখিয়ে নিল ক্রিকেট ইতিহাসের রেকর্ডের খাতায়। সৌজন্যে জো কার্টার ও ব্রেট হ্যাম্পটন। যাঁদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৬ বলে উঠল ৪৩ রান। উইলেম লুডিক সেই হতভাগ্য বোলারের নাম, যাঁর এক ওভার থেকে এল এই রেকর্ড রান। ৪৩ রানের মধ্যে ২৩ রান তুললেন হ্যাম্পটন। কার্টার করেন ১৮ রান। বাকি দু’রান এল নো বলে।
[ভারতীয় ক্রিকেটারদের অপমান! এক ফ্যানকে মোক্ষম জবাব দিলেন বিরাট]
ওয়ান ডে ম্যাচের ৪৬তম ওভারটা শুরু হয় হ্যাম্পটনের বাউন্ডারি দিয়ে। যারপর তিনটে ছয় মারেন তিনি। যার মধ্যে দুটো ছিল নো বল। যারপর হ্যাম্পটনের সিঙ্গলস রানে কার্টার আসেন স্ট্রাইকিং এন্ডে। যিনি পরের তিন বলে তিনটে ছয় মেরে ফিনিশিং টাচ দেন বিশ্বরেকর্ডে। ইনিংস শেষে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্ট তোলে ৩১৩-৭। জবাবে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট থামল ২৮৮-৯ রানে। ২৫ রানে জিতলেন হ্যাম্পটন-কার্টাররা। ম্যাচ শেষে অবশ্য জয়ের থেকেও হ্যাম্পটন বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল বিশ্বরেকর্ড গড়ে। বলেন, “আসলে একদম শেষের দিকের ওভারগুলো চলার সময় একটা কথাই মাথায় ঘোরে- বল দেখো আর বল মারো। সেটাই করেছি। কয়েকটা নো বলে বড় রান আসায় আমরা আরও ছন্দ পাই। ওভার শেষে আমি আর কার্টার আলোচনা করছিলাম কত রান তুললাম। ভেবেছিলাম ৩৯ রান এসেছে। প্রথম বাউন্ডারিটা আমরা হিসেবে ধরিনি।”
[দীপাবলিতে রোহিতের ব্যাটে ফুলঝুরি, টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় ভারতের]