এটিকে ১ (ম্যানুয়েল লাঞ্জারাটে)
জামশেদপুর ১ (চিদোনচা)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচের আগে অনেকেই এগিয়ে রাখছিলেন জামশেদপুর এফসিকেই। কারণও আছে। এই ম্যাচের আগে যে দুটি ম্যাচ তাঁরা খেলেছিল সেই দুই ম্যাচেই ঝকঝকে ফুটবল খেলেছিল জামশেদপুর। একটি জয় এবং একটি ড্র নিয়ে অপরাজিত ছিল ফার্নান্দোর দল। অন্যদিকে, দিল্লি থেকে ৩ পয়েন্ট তুলে আনলেও সেভাবে এখনও নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি কপেলের এটিকে। মাঠের খেলাতে সেই ছবিই ধরা পড়ল। এটিকের তুলনায় ভাল ফুটবলটা জামশেদপুরই খেলল। ঘরের মাঠে ভাল খেলাটা অবশ্য প্রত্যাশিতই ছিল টিম কাহিলদের কাছ থেকে। কিন্তু ভাল খেলেও শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নিতে পারল না জামশেদপুর। সৌজন্য গোলকিপার শুভাশিস রায়চৌধুরীর বিশ্রী ভুল।
[আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে]
প্রথমার্ধের খেলাটা কার্যত একপেশেই ছিল। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ শানানোর চেষ্টা করছিল জামশেদপুর, ভাল পাসও খেলছিল। যদিও, সেভাবে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি হচ্ছিল না। অন্যদিকে, অ্যাওয়ে ম্যাচে কাউন্টার অ্যাটাকেই ভরসা রাখেন কোচ কপেল। যদিও, কালু উচে না থাকায় এদিন শুরু থেকেই সেভাবে আক্রমণ দানা বাধেনি। উচের অভাব বারবারই চোখে পড়ছিল। দুদলের খেলার গতিতেই মনে হচ্ছিল, গোল আসতে পারে একমাত্র সেট পিস থেকে । হলও তাই, দুটি গোলই এল সেট পিস থেকে। তাও আবার দুই বঙ্গসন্তান গোলরক্ষকের বিশ্রী ভুলে।
[জৌলুসহীন মরশুমের প্রথম এল ক্লাসিকো, ১১ বছর পর নেই মেসি-রোনাল্ডো]
প্রথম ভুলটি করলেন অরিন্দম। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ডি বক্সের একটু বাইরে ফ্রি কিক পায় জামশেদপুর। কিন্তু চিদোনচার দুর্বল শটের বাউন্স বুঝতে না পেরে পরাস্ত হন অরিন্দম। বল জড়িয়ে যায় এটিকের জালে। এরপর প্রথমার্ধে কিছুটা আক্রমণের ধার বাড়ানোর চেষ্টা করেন এটিকো কোচ কপেল। ফল মিলল প্রথমার্ধের এক্কেবারে শেষ মুহূর্তে। এবারেও গোলরক্ষকের ভুলে সমতা ফেরাল এটিকে। ম্যানুয়েল লাঞ্জারোটের কার্লিং কর্নারের ফ্লাইট ঠিক বুঝতে পারলেন না জামশেদপুরের গোলরক্ষক শুভাশিস রায়চৌধুরীও। সরাসরি কর্নার থেকেই বল জড়িয়ে গেল জামশেদপুরের জালে। দ্বিতীয়ার্ধেও খেলার ছবিটা ছিল একই রকম। দুদলই খানিকটা ছন্নছাড়া আক্রমণ শানানোর চেষ্টা করলেও, গোল আর আসেনি।