সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০১ বার ব্রাজিলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন। ৩৫ বার বিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছেন। নো-লুক পাস থেকে ফ্রি-হুইলিং স্টাইল, ব্রাজিলের শিল্পিত ফুটবলের সৌন্দর্য নিজের পায়ের জাদুতে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কে ভুলতে পারে সেই অবিশ্বাস্য ফ্রি-কিক! তবে আপাতত সে সব স্মৃতির সরণিতেই তুলে রাখতে হবে। কারণ বিশ্ব ফুটবলকে বিদায় জানাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রোনাল্ডিনহো।
[ ‘বিশ্বাসঘাতক’ খালিদের উপর চড়াও আইজল সমর্থকরা, ম্যাচের পর ধুন্ধুমার ]
২০১৫ সাল থেকে আর মাঠে তাঁকে তেমন দেখা যায়নি। ব্রাজিলের এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, তিনি অবসরই নিয়েছেন। তবে একটি ফেয়ারওয়েল ম্যাচের কথা ভাবা হচ্ছে। তারকা ফুটবলারকে যথাযোগ্য সম্মান দিয়েই বিদায় জানানো হবে। এ কথা জানিয়েছেন তাঁর ভাই তথা এজেন্ট। ফলে বিশ্ব ফুটবল থেকে যে রোনাল্ডিনহো জাদু ফিকে হচ্ছে তা নিশ্চিত।
[ নিয়মভঙ্গে আইসিসি-র কোপে বিরাট, কাটা গেল ম্যাচ ফি ]
রোনাল্ডিনহোর সঙ্গে দুটি নাম জড়িয়ে আছে অঙ্গাঙ্গীভাবে। ব্রাজিল আর বার্সেলোনা। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন। আর ক্লাবের হয়ে বোধহয় জীবনের সেরা সময়টা কাটিয়েছেন এই তারকা ফুটবলার। কেরিয়ারে প্রায় সাতটি ক্লাবে খেলেছেন। কিন্তু বার্সেলোনা তাঁর কেরিয়ারের সোনার অধ্যায়। ২০০৩-২০০৮, টানা পাঁচবছর এই ক্লাবে খেলেন তিনি। সারা বিশ্ব এই সময়েই মজেছিল তাঁর ফুটবল জাদুতে। পরবর্তীকালে মিলানে গিয়েছিলেন। সাফল্য পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু কখনওই বার্সার উচ্চতায় পৌঁছাতে পারেননি। দেশের হয়েও চোখধাঁধানো সাফল্য পেয়েছিলেন। ২০০২ –এর বিশ্বকাপে প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে নেওয়া তাঁর ফ্রি-কিক আজও ফুটবলপ্রেমীদের চোখে ভাসে। সেই একটা শটেই ইংল্যান্ডের কাপজয়ের আশার ভরাডুবি হয়েছিল। স্টাইলিশ ফুটবলে গোটা মাঠে জাদু ছড়িয়ে রাখতেন। ব্রাজিল দুর্গের নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডারও ছিলেন তিনিই।
[ আক্রমের পর কি এবার মোহনবাগানে ফিকরু? ]
তবে নিজেই যে মাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বারবার তাঁর কাছে পরাস্ত হয়েছেন। তবে প্রাপ্তি কম নয়। বিশ্বকাপ থেকে ব্যালন-ডি-অর পাননি এরকম কিছুই নেই। তবু ক্রমে ক্রমে জাদু ফুরোচ্ছিল। আর তাই বুটজোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন তিনি।