সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক’দিন আগেও মোর্চা সমর্থকদের তাণ্ডবে উত্তাল ছিল পাহাড়। তাদের কীর্তি লিখতে গিয়ে সংবাদপত্রগুলি খরচ করেছে প্রচুর কালি। বেশিরভাগ দিনই শিরোনামে পাহাড়ের বনধ ও বিমল গুরুং। কিন্তু আপাতত কিছুটা হলেও যেন বদলেছে পরিস্থিতি। অশান্তি কোথায়? মোর্চাদের চোখরাঙানি কোথায়? শনিবার সকাল থেকে শিলিগুড়ির পরিবেশটা আমূল বদলে গিয়েছে। পাহাড়ে অশান্তি নয়, সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে ফুটবলপ্রিয় বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় ইস্ট-মোহন ডার্বি। আশঙ্কা, উত্তেজনার চোরাস্রোত আছে। তবে সেটা রাজনৈতিক চাপানউতোর নয়। বরং পুরোটাই ফুটবল উৎসবকে ঘিরে। কারণ অবশ্যই রবিবার বিকেলে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। যে মহার্ঘ ডার্বি দিয়ে শেষ হতে চলেছে কলকাতা লিগ। ঠিক হয়ে যাবে কোথায় যাবে কাপ। লেসলি ক্লডিয়াস সরণী নাকি গোষ্ঠ পাল সরণী?
হিসাবটা বেশ সহজ। ইস্টবেঙ্গলের টানা আটবার লিগ জয়ের জন্য দরকার একটা ড্র। সেটা গোল-সহ বা গোলশূন্য, যাই হোক। তবে জিততেই হবে মোহনবাগানকে। এরকম একটা টানটান উত্তেজনা পরিস্থিতিতে পাহাড়ে ডার্বির আঁচ প্রবলভাবে পড়াই বেশি স্বাভাবিক। কলকাতা থেকে দলে দলে সমর্থকরা ভিড় করতে শুরু করে দিয়েছেন পাহাড়ি শহরে। হোটেলের ঘর বুকড। হোটেলের বাইরে ক্রোমা, কামো, অর্ণব, আমনাদের নাম লেখা জার্সিগুলিই চোখে পড়ছে বেশি। সকালে প্র্যাকটিসের পর গতকাল সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি পৌঁছে গিয়েছে দুই টিম। কামো, ক্রোমাদের কপালে হলুদ টিপ পরিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। ইস্টবেঙ্গলেও তাই। শিলিগুড়ি লাল-হলুদের ডেরা বলেই বেশি পরিচিত। তাই খালিদ জামিলের ছেলেদের নিয়ে মাতামাতিটাই যেন চোখ টানছিল বেশি।
শনিবারই দুই টিমেরই প্র্যাকটিস ছিল সকাল বেলায়। ইস্টবেঙ্গলের সকাল ন’টা থেকে। মোহনবাগানের সকাল এগারোটা থেকে। চড়া রোদ উপেক্ষা করেই সেখানে উপস্থিত ফ্যানরা। তবে লাল-হলুদ সমর্থকদের ভিড়ের পরিমাণ যতটা ছিল, তার সঙ্গে তুলনা চলে না সবুজ-মেরুনের। গতবারের থেকেও এবার মোহনবাগান সমর্থকের সংখ্যা বেশ কম। আশা করা যায়, রবিবারের মধ্যে সেই ঘাটতি মিটে যাবে। তবে শনিবার সকালে কার্যত ফাঁকা স্টেডিয়ামেই প্র্যাকটিস করতে হল মোহনবাগানকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.