সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাইশ গজ হোক বা মাঠের বাইরে, নিয়মিত খবরের শিরোনামে থাকেন ক্রিস গেইল৷ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ঝড় তুলে এই সমালোচকদের মুখ বন্ধ করেন, তো পরমুহূর্তে আবার মহিলা সঞ্চালিকার সঙ্গে কথা বলা নিয়ে বিতর্কে জড়ান৷ ‘ওয়ার্ক হার্ড, পার্টি হার্ডার৷’ এই প্রবাদেই বিশ্বাসী ক্রিস গেইল৷ সে কথা তাঁর ভক্তদেরও বেশ ভালভাবেই জানা৷ তাই বাইশ গজের বাইরে তাঁর জীবনযাপনের ধারা অনেক ক্রিকেটারের থেকেই আলাদা৷ আর সে কারণেই মাঝেমধ্যে অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন। ইতিমধ্যেই ফের একবার খবরের শিরোনামে ক্যারিবিয়ান দৈত্য৷ গতবছর জানুয়ারি মাসে গেইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে এক মহিলা ম্যাসাজ থেরাপিস্টকে নাকি তিনি নিজের যৌনাঙ্গ দেখিয়েছিলেন। সেই মামলার শুনানিতেই সোমবার গেইল জানালেন তিনি নির্দোষ। তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ার্ল্ড কাপ চলাকালীন গেইল নাকি এই অভব্য আচরণ করেছিলেন। সিডনিতে দলের ড্রেসিংরুমে ওই মহিলা থেরাপিস্টের সামনে উন্মুক্ত দেহে চলে আসেন। এই খবরটি গত বছর জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু সংবাদপত্রে সেই খবর প্রকাশিত হয়। আর তারপরই গেইল ওই সংবাদপত্রগুলির নামে মানহানির মামলা করেন। নিউ সাউথ ওয়েলশ-এর সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলাটিরই শুনানি চলছে। এদিন গেইলের আইনজীবী ব্রুস ম্যাকক্লিনটক শুনানিতে বলেন, ‘সবাই গেইলের নাম খারাপ করার চেষ্টায় আছে। তারা চায় ও ধ্বংস হয়ে যাক।’
এদিকে, সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে গেইল জানিয়েছেন, কখনই এ ধরনের কিছু হয়নি। আমার জীবনের এটাই সবচেয়ে খারাপ ঘটনা। আমি তাই মামলা লড়ব। কারণ নিজের নামটা এই অভিযোগ থেকে মুক্ত করতে হবে। এর আগে বিগ ব্যাশে খেলার সময় টিভি চ্যানেলের লাইভ ইন্টারভিউ-তে সঞ্চালিকাকে একসঙ্গে মদ্যপানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷ যার জন্য তাঁকে মোটা টাকার জরিমানাও গুণতে হয়েছিল৷ এমনকী বহিষ্কৃত হতে হয়েছিল গেইলকে। ক্যারিবিয়ান তারকার মতে, তাঁর ওই কথা বলার জন্যই এভাবে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও ওই সংবাদপত্রগুলি আদালতে জানিয়েছে, খবরটি সম্পূর্ণ সত্যি এবং সাধারণ মানুষের জন্যই সেটি প্রকাশ করা হয়েছে। এখন দেখার দশদিনের শুনানির পর কী রায় দেয় আদালত?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.