সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে ক্রীড়াসূচি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। প্রশ্ন তুলেছিলেন ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়া নিয়েও। ভারত অধিনায়কের মন্তব্যই যেন চোখ খুলে দিয়েছে বিসিসিআইয়ের। শোনা যাচ্ছে, ক্রীড়াসূচিতে আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে বোর্ড।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে লম্বা সিরিজ থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে আলাদা করে প্র্যাকটিসের সময় পাবেন না বিরাটরা। ব্যবস্থা করা হয়নি কোনও ক্যাম্পেরও। সবমিলিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন ক্যাপ্টেন কোহলি। বলেছিলেন, “প্রত্যেক ক্রিকেটার বছরে ৪০টা করে ম্যাচ খেলে। সারা বছরই অত্যন্ত চাপের মধ্যে থাকতে হয় সবাইকে। তবে তাদের মধ্যে সবাই টানা ৪৫ ওভার ব্যাট করে না বা টেস্টে ৩০ ওভার হাত ঘোরায় না। কিন্তু সেগুলো যাদের করতে হয়, তাদের তো আগে বিশ্রাম প্রয়োজন। তাই না? তাছাড়া বাইরে থেকে যাঁরা সমালোচনা করেন, তাঁরা শুধু ৪০টা ম্যাচই দেখেন। এটা বোঝেন না যে তার প্রস্তুতির জন্য কত বেশি সময় মাঠে সময় কাটাতে হয়।” বিরাটের মন্তব্যের পরই নড়েচড়ে বসল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
[আইএসএল ম্যাচে উত্তর ভারতের মহিলাদের হেনস্তার অভিযোগে ধৃত ২]
নতুন করে সূচি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। প্রশাসনিক কমিটির (সিওএ) তত্ত্বাবধানে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ার সফরের নয়া সূচি তৈরি হবে। নতুন ক্রিকেট ক্যালেন্ডার তৈরি করার ক্ষেত্রে অংশ নেবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টও। সিওএ চেয়ারম্যান বিনোদ রাই রবিবার জানান, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের সূচিতে ভারতীয় দলের খেলার দিন বছর পিছু ১৪০ থেকে কমিয়ে ৮০ দিন করা হবে। “শুধুমাত্র অর্থের লোভে আমরা সোনার ডিম দেওয়া মুরগীকে হত্যা করতে পারি না। আসন্ন ভারত-শ্রীলঙ্কা তৃতীয় টেস্টের সময় দিল্লিতে ক্রিকেটারদের সামনে তাঁদের ভবিষ্যৎ সফরের রূপরেখা তুলে ধরবে বিসিসিআই। ধোনি-কোহলি-রোহিতদের মতামত নিয়েই তৈরি হবে সূচি।” বলেন রাই।
দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়ে যাওয়ার আগে মাত্র দু’দিনের বিশ্রাম পাবে দল। আর সেই বিষয়টিই ভাবিয়ে তুলেছে বিনোদ রাইকে। সেই কারণেই সূচিতে বদল আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিন ফরম্যাটে বছরে ৫০টিও বেশি ম্যাচ খেলতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে। তবে হিসাব যা বলছে, তাতে ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত প্রতি বছর টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে মোট ৩২টি ম্যাচ খেলবে বিরাট অ্যান্ড কোং।