সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯টি ছয় এবং ৬টি চার হাঁকিয়ে ৯৭ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস। আইপিএল-এ ঠিক যেমন ইনিংস দেখতে চান দর্শকরা, বৃহস্পতিবার ঋষভ পন্থ তেমনই দর্শনীয় ইনিংস খেললেন। সঙ্গে দলকেও জেতালেন। তাঁর অসাধারণ ব্যাটিংয়ের তারিফ করেছেন স্বয়ং মাস্টার ব্লাস্টার। শচীন তেণ্ডুলকর টুইট করেন, আইপিএল ১০টি মরশুম মিলিয়ে তাঁর দেখা অন্যতম সেরা ইনিংস ছিল এটি। এবার তাঁর প্রশংসা করলেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলস দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলে যে কোনও ব্যাটসম্যানই সচেতনভাবে ব্যাট চালান। কিন্তু ঋষভ তেমনটা করেননি। ব্যক্তিগত সাফল্যের কথা চিন্তা না করে দলের কথা আগে ভেবেছেন পন্থ। আর তাতেই কোচ দ্রাবিড়ের মন জয় করে নিয়েছেন এই তরুণ তুর্কি।
[‘ত্রিপাঠীর হাতুড়ির সামনে চরম অসহায় লাগছিল’]
পন্থ ও ওপেনার সঞ্জু স্যামসনের প্রশংসা করতে গিয়ে ভারতীয় দলের এককালের মিস্টার ডিপেন্ডবল ঠাট্টা করে বলেন, “খুব ভাল খেলেছ। আমি ঠিক এভাবেই খেলতাম। নিশ্চয়ই আমাকে দেখেই শিখেছ!” ভারতীয় কিংবদন্তি যে ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টির থেকে টেস্টেই অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য ছিলেন, তা সবারই জানা। তাই মজা করে দিল্লি দলের দুই ব্যাটসম্যানকে বলেন, “২০ ওভারে ২০৮ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামার সময় ভাগ্যিস পন্থ আমার ব্যাটিংয়ের বেশি ভিডিও দেখেনি। ৪৩ বলে ৯৭ রানের ইনিংস খেলাকালীন কী চলছিল পন্থের মাথায়? রাহুলের এই প্রশ্নে জবাবে পন্থ জানান, বেশি কিছু ভাবেননি। একটা করে বল আসবে আর তা মারতে হবে। এটাই ছিল লক্ষ্য। ৩১ বলে ৬১ রান করে তাঁর যোগ্য দেন সঞ্জুও। জানান, পন্থের সঙ্গে ব্যাটিং করতে দারুণ লেগেছে। গুজরাটের বিরুদ্ধে বড় শট নেওয়ার ক্ষেত্রে পন্থই আত্মবিশ্বাস জুগিয়ে ছিলেন তাঁকে।
[‘সন্ত্রাস আর খেলা একসঙ্গে চলতে পারে না’]
১০টি ম্যাচে এখনও পর্যন্ত ৪টিতে জয়ী দিল্লি। প্লে অফে পৌঁছতে বাকি সবকটি ম্যাচে জিততে মরিয়া জাহির খানরা। আগামী ম্যাচগুলির জন্য পন্থকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাহুল বলেন, “আগামী ম্যাচে আউট হয়ে গেলে চলবে না। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়ো।”