Advertisement
Advertisement

‘বাড়ি ফিরলে ওকে ফ্রায়েড রাইস আর চিলি চিকেন করে খাওয়াব’, বলছেন উচ্ছ্বসিত রিচার মা

রিচার জন্য গর্বিত শিলিগুড়ি।

'I will cook fried rice and chilli chicken when she comes, says an excited Richa's mother । Sangbad Pratidin
Published by: Krishanu Mazumder
  • Posted:January 30, 2023 10:00 am
  • Updated:January 30, 2023 10:00 am

অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়,শিলিগুড়ি: অনুর্ধ-১৯ মহিলা বিশ্বকাপের (ICC Women’s Under-19 T20 World Cup) প্রথম সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল। সেই সঙ্গে শিলিগুড়ির মুকুটেও যুক্ত হল আরেকটি পালক। শিলিগুড়ির মেয়ে রিচা ঘোষ (Richa Ghosh) বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য। আর মেয়ের এই সাফল্যে আনন্দে ফেটে পড়ল তাঁর পরিবার।

বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ কলকাতায়। বাড়িতে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন রিচার মা, কাকা, কাকিমা, বোন। চলল দেদার মিষ্টিমুখ। মেয়ে বাড়ি ফিরলেই তাঁর প্রিয় খাবার রাঁধার জন্য প্রস্তুত মা স্বপ্না ঘোষ। শিলিগুড়ির সুভাষপল্লীর বাড়িতে ছিল টানটান উত্তেজনা। মেয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলছে তাই টেনশন ছিলই। তবুও বিশ্বাস ছিল এবার মেয়ে বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখতে পারবে। ২০২০ সালে সিনিয়র দলের সদস্য হয়ে কুড়ি-কুড়ি বিশ্বকাপের ফাইনালে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। তাই একটা চাপা টেনশন ছিল এবার। কিন্তু দিনের শেষে শেষ হাসি হাসলেন রিচাই। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভিভিএসের আস্থার মর্যাদা রাখতে পেরে তৃপ্ত বিশ্বজয়ী কোচ]

 

দেশকে গর্বিত করার পাশাপাশি তাঁর শহর-সহ পরিবারকেও গর্বিত করলেন। টিভিতে দিনভর চোখ রেখে মেয়ের জয় দেখেই চোখে জল আসে মা স্বপ্না ঘোষের। সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায় যখন রাজত্ব করছেন তাঁর মেয়েরা, তখন শিলিগুড়িতে আনন্দে মশগুল গোটা পরিবার। বয়স যখন ৪ বছর, তখন থেকেই ব্যাটে হাতেখড়ি রিচার। ২০১৬ সালে বাংলা দলে সুযোগ পান রিচা। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ২০২০ ও ২০২২ সালে কুড়ি- কুড়ি বিশ্বকাপ সিনিয়র দলে সুযোগ পান তিনি। এবার অনুর্ধ-১৯-এর প্রথম সংস্করণেও সুযোগ পান রিচা। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিশ্বসেরা দলের সদস্য হলেন তিনি। তাঁর ট্রফি ক্যাবিনেটে এখন বিশ্বকাপের মেডেলও থাকবে।

Advertisement

এই শহর থেকে প্রথম ঋদ্ধিমান সাহা ভারতীয় দলে খেলেন। শিলিগুড়ি ঋদ্ধির শহর বলেই  পরিচিত। এবার তাঁর শহর থেকেই তিনটি বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন রিচা। এর মধ্যে একটিতে চ্যাম্পিয়নও বটে। এদিকে মেয়ের সাফল্যে আনন্দে আত্মহারা রিচার মা। তিনি ভেবেই রেখেছেন মেয়ে বাড়ি ফিরলেই ডায়েট বাতিল করে একদিন তাঁর মনপসন্দ খাবার রান্না করবেন। স্বপ্না ঘোষ বলেন, “খুব আনন্দ হচ্ছে। ওর প্রতিটি ম্যাচ আমি দেখি। যথারীতি টেনশনও থাকে। ভগবানের কাছে ওর সাফল্যের জন্য প্রার্থনাও করতে থাকি। এবার রিচা বাড়ি ফিরলেই ওর জন্য ফ্রায়েড রাইস ও চিলি চিকেন রান্না করে খাওয়াব।” কাকা কৌশিক ঘোষ ও কাকিমা পূজা ঘোষও বলেন, “আগামীতে ও আরও অনেক বিশ্বকাপ জিতবে বলে আমরা আশাবাদী। রিচার জন্য আমরা গর্বিত।” 

[আরও পড়ুন: মহিলাদের ঐতিহাসিক বিশ্বজয়ে দুরন্ত বোলিং, হুগলির তিতাসকে নিয়ে গর্বিত পরিবার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ