অস্ট্রেলিয়া- ৩০৭ (ওয়ার্নার ১০৭, মহম্মদ আমির ৩০/৫)
পাকিস্তান- ২৬৬ (ইমাম ৫৩, কামিন্স ৩৩/৩)
অস্ট্রেলিয়া ৪১ রানে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাগ্য সহায় না থাকলে যা হয়, সেটাই হল পাকিস্তানের সঙ্গে। ৪৫তম ওভারে একটা লুজ শট আর সব লড়াই শেষ। চাপা অস্বস্তি কাটিয়ে মুখে হাসি ফুটল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের মুখে। কাঙ্খিত উইকেট পেতেই চাঙ্গা হয়ে গেল ক্যাঙারু বাহিনী। ওভাল ম্যাচে লড়াই করে ভারতের কাছে হারের জ্বালা কিছুটা জুড়লো বুধবার। টনটনে পাকিস্তানকে রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকল অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে, বেশ লড়াই করেও হেরে গিয়ে রীতিমতো বিপাকে সরফরাজরা। চার ম্যাচে সংগ্রহ মাত্র ৩ পয়েন্ট। সেমিফাইনালের রাস্তা বেশ কঠিন এই জায়গা থেকে। ঘুরে দাঁড়াতে হলে আগামী ১৬ জুন ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মরণবাঁচন ম্যাচ বলা চলে।
এদিন প্রথম ব্যাট করে ৩০৭ রান তোলেন অজিরা। অধিনায়ক তথা ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার ছাড়া এদিন বাকিরা মোটামুটি সবাই ব্যর্থ। সেঞ্চুরি হাঁকান ওয়ার্নার (১০৭)। অনবদ্য বোলিং দর্শকদের উপহার দেন মহম্মদ আমির। এবারের বিশ্বকাপে প্রথম পাঁচ উইকেট পকেটে পুড়লেন মহম্মদ আমির। প্রথমে মনে হচ্ছিল, বড় ইনিংস গড়তে চলেছেন অজিরা। কিন্তু আমিরের আগুনে বোলিংয়ের দৌলতে ৩০৭ রানে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গুটিয়ে দিতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। তাও চিন্তা একটা ছিল পাকিস্তানের। এবারের বিশ্বকাপে বৃষ্টির জন্য বেশ কয়েকটি ম্যাচ বাতিল হয়েছে। এদিনও আকাশের মুখ ভার ছিল। তাই ডাকওয়ার্থ-লুইসের গেরোয় ফাঁসতে চায়নি পাক ব্যাটসম্যানরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ওপেনার ফাখর জামান। বাবর আজমকে (৩০) সঙ্গে নিয়ে তখন ইনিংসের হাল ধরেন ইমাম-উল-হক। বাবর আউট হতেই মহম্মদ হাফিজের সঙ্গে পার্টনারশিপে রানের গতি সচল রাখেন ইমাম। কিন্তু ৫৩ রানে করে তিনি আউট হতেই ধস নামে পাক ব্যাটিং লাইন আপে। শূন্য করেন শোয়েব মালিক। হাফিজও (৪৬) ফিরে যান তারপর। তাসের ঘরের মতো যখন ব্যাটিং ভেঙে পড়ছে তখন ৯ নম্বর ব্যাটসম্যান ওয়াহাব রিয়াজ চমকে দেন সবাইকে। তাঁর ভয়ডরহীন ব্যাটিং চিন্তা ধরিয়ে দেয় ক্যাঙারু শিবিরে। কিন্তু ৪৫ রানের মাথায় একটা লুজ শট খেলে রিয়াজ আউট হতেই পাকিস্তানের জারিজুরি শেষ হয়ে যায়। অধিনায়ক সরফরাজ একদিক ধরে ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকলে যা হয়। ৪১ রানে ম্যাচ হারল পাকিস্তান। সেইসঙ্গে শেষ চারের যাওয়ার রাস্তাও আরও কঠিন হল তাঁদের জন্য।