সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভেজা মাঠে নামতেই চায়নি বাংলাদেশ। জোর করে নামানো হয়েছে।’ ‘হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) শেষ বল ওয়াইড থাকলেও তা দেননি আম্পায়ার।’ ‘ভারত ফেক ফিল্ডিং করায় ৫ রান পেনাল্টি প্রাপ্য ছিল বাংলাদেশের।’ ‘ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে হিসেবে গন্ডগোল ছিল।’ বুধবার অ্যাডিলেডে ভারতের কাছে হারের পর এমনই নানা তত্ত্ব নিয়ে হাজির বাংলাদেশের সমর্থকদের একাংশ। তবে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে অধিনায়ক শাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan) সেসব অজুহাতের কথা বললেন না। মেনে নিলেন নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা। আবার বেনজিরভাবে এক সাংবাদিকের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়াতে দেখা গেল তাঁকে।
গত কয়েক বছরে ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়েছে। তার সঙ্গে বেড়েছে ম্যাচ হারের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশি সমর্থকদের ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নানা অভিযোগ তোলার প্রবণতা। মূলত ২০১৫ সালে একদিনের বিশ্বকাপে নো বলের সুবাদে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) রক্ষা পাওয়ায় পর থেকে এমন অভিযোগ শুরু করা হয়। পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩ বলে ২ রান করতে না পেরে ম্যাচ হারের পর মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগে সরব হন বাংলাদেশের সমর্থকরা। সেই প্রবণতা অব্যহত রেখে এদিনের ম্যাচে হারের পর ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নানা তত্ত্ব আমদানি করেছেন তাঁরা।
যদিও হারের জন্য নিজেদের অনভিজ্ঞতাকেই দায়ী করেছেন শাকিব। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “আমরা এই ধরনের ক্লোজ ম্যাচ খুব একটা খেলিনি। ফলে কীভাবে স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে এমন ম্যাচ জিততে হয়, তার অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। ১৮৫ হোক বা ১৫১ রান, তাড়া করাটা অসম্ভব ছিল না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা সেটা করতে পারিনি। আবেগ নিয়ন্ত্রণের অক্ষমতা এবং অভিজ্ঞতার অভাবেই হারলাম।” বৃষ্টির জেরে ব্যাটিং টিম বাড়তি সুবিধা পায় বলেও মনে করছেন শাকিব, “ভেজা মাঠে সবসময় ব্যাটাররা সুবিধা পায়। কারণ সেসময় রান করা সহজ হয়। উলটে আমরা বৃষ্টির পর মোমেন্টামটাই হারিয়ে ফেলি।”
সাংবাদিক সম্মেলনে বেনজিরভাবে এক সাংবাদিকের সঙ্গে বিতণ্ডাতেও জড়িয়ে পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এক বাংলাদেশি সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, বৃষ্টির পর কি আপনারা না খেলার চেষ্টা করেছিলেন? আম্পায়ারের সঙ্গে কী আলোচনা করছিলেন? জবাবে শাকিব বলেন,”আমাদের কাছে কি কোনও বিকল্প খোলা ছিল?” ‘বিকল্প তো ছিল না, কিন্তু আপনি কী রোহিত শর্মা এবং আম্পায়ারদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন?, পালটা প্রশ্ন করেন সাংবাদিক। এবারে শাকিব পালটা ওই সাংবাদিককে প্রশ্ন করেন,”আপনার কী মনে হয় আমার আম্পায়ারদের বোঝানোর ক্ষমতা আছে?” বাংলাদেশ অধিনায়কের সপাট জবাবে হতবাক সাংবাদিক এবার বলে বসেন, “তাহলে কি আপনারা আম্পায়ারদের সঙ্গে বাংলাদেশের নদীনালা সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। কী কথা হচ্ছিল আম্পায়ারদের সঙ্গে?” এবারে শাকিব বলেন, এবার আপনি সঠিক প্রশ্ন করলেন। আম্পায়াররা আমাদের ডেকে নতুন খেলার নিয়মাবলি বুঝিয়ে দিলেন। কত ওভার খেলা হবে? কোন শর্তে খেলা হবে? এসব বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন।” সাংবাদিক এবং শাকিবের সেই বিতর্ক ক্যামেরাবন্দি হয়ে রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.