Advertisement
Advertisement
ICC World Test Championship

DRS থেকে রিজার্ভ ডে, জেনে নিন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের চমকপ্রদ পাঁচটি নিয়ম

ডিআরএসের আগেও নেওয়া যাবে আম্পায়ারের পরামর্শ।

ICC World Test Championship: 5 Interesting Playing Conditions for Final | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 1, 2021 4:42 pm
  • Updated:June 17, 2021 7:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রথমবার টেস্ট ক্রিকেটে এই ধরনের চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়ে খুব স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তুঙ্গে। করোনা আবহে মেগা এই ইভেন্টকে সফল করতে আইসিসিও (ICC) কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। আসলে এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল সবদিক থেকেই অভিনব। অনেকে এটিকে তুলনা করছে ৫০ ওভার বা ২০ ওভারের বিশ্বকাপের ফাইনালের সঙ্গে। সুতরাং, এর নিয়ম কানুনেও থাকছে অভিনবত্ব। এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অনেক কিছুই প্রথমবার দেখতে চলেছে ক্রিকেট বিশ্ব।

১। রিজার্ভ ডে: আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship) ফাইনালে একটি রিজার্ভ ডে থাকছে, এটা কমবেশি সকলের জানা। রিজার্ভ ডে’র এই ধারণাটা অবশ্যই টেস্ট ক্রিকেটে অভিনব এবং বেনজির। কিন্তু কীভাবে কাজ করবে এই রিজার্ভ ডে? আইসিসি বলছে, ম্যাচ চলাকালীন কোনও একদিন বা দুদিন সামান্য বৃষ্টি হলে যে কয়েকটা ওভার নষ্ট হল, সেগুলি রিজার্ভ ডে’তে খেলিয়ে দেওয়া হবে, এমন নয়। রিজার্ভ ডে একমাত্র ব্যবহার করা যাবে যদি পাঁচদিনে ৯০ ওভার বা ৬ ঘণ্টার বেশি খেলা বৃষ্টির জন্য পণ্ড হয়। রিজার্ভ ডে’তে সর্বোচ্চ ৮৩ ওভার বা ৩৩০ মিনিট খেলা যাবে। রিজার্ভ ডে নেওয়া হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত ম্যাচ রেফারি নেবেন এক্কেবারে ম্যাচের পঞ্চম দিনের শেষ ১ ঘন্টায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর মিলল ছাড়পত্র, বিরাটের সঙ্গে ইংল্যান্ড যাচ্ছেন অনুষ্কাও]

২। ডিউক বল: ম্যাচটি খেলা হবে গ্রেড ওয়ান ডিউক বল দিয়ে। টেস্ট ক্রিকেট সাধারণত তিন ধরনের বলে খেলা হয়। ডিউক বল, এসজি বল এবং কোকাবুরা বল। এই গ্রেড ওয়ান ডিউক বল সম্পূর্ণরূপে হাতে সেলাই করা। সেলাইয়ের ছটি সারি রয়েছে এতে। এতে বল গ্রিপ করতেও সুবিধা হয়, আবার এর সিমও অনেকক্ষণ ধরে রাখা যায়। যার ফলে সুইং এবং স্পিন দুটোই বেশি হতে পারে।

Advertisement

৩। শর্ট রানে থার্ড আম্পায়ার: এতদিন কোনও ক্রিকেটার রান নেওয়ার সময় পপিং ক্রিজে পৌঁছলেন কিনা, সেটা দেখার দায়িত্ব ছিল অন-ফিল্ড আম্পায়ারের। কেউ পপিং ক্রিজে না পৌঁছে দ্বিতীয় বা তৃতীয় রানের জন্য ফিরে গেলে ‘শর্ট রান’ (Short Run) দেওয়া হত। অর্থাৎ রান বাতিল হত। সিদ্ধান্ত নিতেন মাঠের আম্পায়াররা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এই শর্ট রানের সিদ্ধান্ত নেবেন থার্ড আম্পায়ার। মাঠের আম্পায়ার শর্ট রানের সিগন্যাল দিলেই থার্ড আম্পায়ার খতিয়ে দেখবেন, সেটি আদৌ শর্ট রান ছিল কিনা।

[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় টিম ইন্ডিয়ার ড্রেসিংরুমের গোপন কথা ফাঁস করলেন কোহলি]

৪। ডিআরএসের আগে আম্পায়ারের পরামর্শ: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ডিআরএস নেওয়ার আগেও নেওয়া যাবে আম্পায়ারের পরামর্শ। তবে, শুধুমাত্র একটি ক্ষেত্রে। কোনও LBW সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে, ব্যাটসম্যান শট খেলেছেন, নাকি বলটি ইচ্ছা করে প্যাডে লাগিয়েছে, সে বিষয়ে আম্পায়ারের মতামত আগেই জেনে নেওয়া যাবে। তারপর নেওয়া যাবে ডিআরএস। ফিল্ডারদের পাশাপাশি ব্যাটসম্যান নিজেও এই পরামর্শ নিতে পারবেন।

৫। LBW-এর ক্ষেত্রে উচ্চতা: LBW রিভিউয়ের ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদের উপরে চাপ খানিকটা বাড়ছে। কারণ, বলের উচ্চতা নিয়ে সিদ্ধান্ত কিছুটা বদলেছে আইসিসি। এতদিন LBW রিভিউয়ের ক্ষেত্রে বলের অন্তত অর্ধেক উইকেটের বেলে লাগলে তবেই আউট দেওয়া হত। এবার থেকে এই নিয়ম বদলাচ্ছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে রিভিউয়ের ক্ষেত্রে যদি হক-আইয়ে দেখা যায়, বলের কোনও একটি অংশ উইকেটের কোনও একটি অংশ ছুঁয়ে যাচ্ছে, তাহলেই সেটিকে আউট বলে গণ্য করা হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ