সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রিকেট মাঠে অঘটনের ঘনঘটা নতুন কিছু নয়। প্রায়শই তৈরি হয় কোনও একটি রেকর্ড। কিছু সময়ের মধ্যে তা ভেঙেও যায়। সম্প্রতি সামনে এসেছে তেমনই একটি ঘটনা, যা ঘটতে সচরাচর দেখা যায় না। যেখানে ওয়ানডে ম্যাচে ১৭ ওভার ব্যাট করে মাত্র ২ রানে গুটিয়ে গেল একটি দল। দলের এগারো জনের মধ্যে ৯ জনই শূন্য রানে ফিরে গেলেন স্টেডিয়ামে। ঘটনাটি আর কোথাও নয়, ঘটেছে এদেশেই।
[নেশার খরচ চালাতে বাইক চুরি, হাওড়ায় গ্রেপ্তার ২ স্কুল পড়ুয়া]
গত শুক্রবার গুন্টুরের জে কে সি কলেজের মাঠে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে এবং নক আউট টুর্নামেন্টে এমনই ‘কীর্তি’ গড়লেন নাগাল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা ক্রিকেট দল। বিপক্ষ কেরলের বোলারদের সামনে মাথা তুলেও দাঁড়াতে পারেননি তাঁরা। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে নাগাল্যান্ডের। দলের একমাত্র রানটি করেন ওপেনার মেনকা। তাও কিনা ১৮ বল খেলে। অপর রানটি এসেছে কেরলের বোলার অ্যালেনা সুরেন্দ্রান ওয়াইড বল করায়। তিনিই একমাত্র বোলার যিনি একমাত্র রান দিয়েছেন এবং কোনও উইকেট পাননি। তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান ৩-২-২-০।কেরলের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মিন্নু মানি। চার ওভার বল করে কোনও রান না দিয়ে চার উইকেট পেয়েছেন তিনি। এছাড়া সৌরাভ্যা পি পেয়েছেন দু’টি উইকেট। সন্দ্রা সুরেন এবং বিবি সেবাস্টিন একটি করে উইকেট পেয়েছেন। মাত্র তিন রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় কেরল। প্রথম বলটি নাগাল্যান্ডের বোলার দীপিকা কেয়েইন্তুরা ওয়াইড করেন। আর পরের বলেই চার মেরে দলকে জয় এনে দেন অংশু এস রাজু।
এত সহজে ম্যাচ জিতে যাওয়ায় রীতিমতো উচ্ছ্বসিত কেরলের কোচ সুমন শর্মা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য মেয়েদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘এটা খুবই বড় জয়। আমরা প্রতিটি ম্যাচেই দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছি কিন্তু এদিনের ম্যাচে মেয়েরা দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। নাগাল্যান্ড প্রতি ম্যাচেই ২০, ৩০, ৪০ রানের মধ্যে অলআউট হয়ে যাচ্ছিল। তবে ২ রানে তাঁদের অলআউট করাটা দুর্দান্ত ব্যাপার। অধিনায়ক মিন্নু এবং অন্যান্যরা প্রশংসার যোগ্য।’ তবে এই জয়ের পরও শেষ চারে যেতে পারল না কেরল। কারণ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দু’টিতে জয় পেয়েছিল তারা।