সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ভবিষ্যৎ আজও বিশ বাঁও জলে। দুই দেশের মধ্যে যেভাবে তিক্ততা বেড়েছে, তাতে অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে বাইশ গজের লড়াইয়ের ভবিষ্যৎও। ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সন্ত্রাস ও ক্রিকেট একসঙ্গে হতে পারে না। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে আলাদা সিরিজ খেলার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এমনকী, পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার পর চলতি বছর বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলিদের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। এবার বিসিসিআইয়ের মসনদে বসে এই দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান কি করতে পারবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়? বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর নাম আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই প্রশ্নটা সৌরভের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফুচকা বিক্রেতা থেকে ব্যাট হাতে বিশ্বরেকর্ড, যশস্বীর জীবন সংগ্রামকে কুর্নিশ নেটদুনিয়ার]
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতির আসনে বসেই কী কী করবেন, তার একগুচ্ছ পরিকল্পনা করে ফেলেছেন মহারাজ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের উন্নতিসাধন থেকে ধোনির ক্রিকেটীয় ভবিষ্যৎ নির্ধারণ, সবই সামলাতে প্রস্তুত তিনি। এবার তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নিয়েও। এমন উত্তপ্ত পরিবেশে কি দুই দেশের মধ্যে ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব? সাংবাদিকদের সৌরভের সোজাসাপটা উত্তর, “এই প্রশ্নটা আপনাদের মোদিজি অথবা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে (ইমরান খান) করা উচিত। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের অবশ্যই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে। কারণ সরকারের অনুমতি ছাড়া কিছু করা সম্ভব নয়। তাই এই প্রশ্নের সঠিক জবাব আমাদের কাছে নেই।” অর্থাৎ তাঁর কথাতেই স্পষ্ট, এখনও ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই আছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীই এব্যাপারে শেষ কথা বলবেন।
[আরও পড়ুন: জল্পনায় ইতি টানতে ধোনির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ]
দুই দেশ শেষবার দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল ২০১২ সালে। ভারতেই আয়োজিত হয়েছিল ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তারপর থেকে আইসিসির টুর্নামেন্টে দুই দেশের সাক্ষাৎ হলেও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়নি। ক্রমেই ভারত-পাক কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও খারাপ হচ্ছে। পাকিস্তানের তরফে একাধিকবার খেলার প্রস্তাব এলেও ভারত কখনও তাতে রাজি হয়নি। এমনকী এখনও পর্যন্ত আইপিএলে পাক ক্রিকেটারদের অংশ নেওয়ার অনুমতি নেই। ক্রিকেটের আঙিনায় এই সম্পর্ক জোড়া লাগা যে বেশ কঠিন, তা সৌরভের বক্তব্যে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।