Advertisement
Advertisement

Breaking News

IPL 2022: লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে হেরে প্লে অফের আশা শেষ নাইটদের

বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করেন লখনউয়ের ওপেনার কুইন্টন ডি' কক।

IPL 2022: Lucknow Super Giants beat KKR | Sangbad Pratidin
Published by: Krishanu Mazumder
  • Posted:May 18, 2022 11:24 pm
  • Updated:May 19, 2022 12:42 am

লখনউ সুপার জায়ান্টস: বিনা উইকেটে ২১০ (কুইন্টন-১৪০*, রাহুল-৬৮*)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২০৮/৮ (শ্রেয়াস-৫০, রিঙ্কু-৪০, স্টোয়নিস-২৩/৩)
২ রানে জয়ী লখনউ
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবারের মতো আইপিএল শেষ হয়ে গেল নাইটদের। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে এদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচ ছিল মরণবাঁচনের। ম্যাচটা শুধু জিতলেই হত না, প্লে অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে বড় ব্যবধানে জিততে হত কেকেআরকে। নাইটরা শেষ পর্যন্ত হার মানল ২ রানে। আর এই হারের ফলে আইপিএল থেকে ছিটকেই গেল কেকেআর। প্লে অফে যাওয়া আর হল না নাইটদের। ইডেনও দেখতে পাবে না ঘরের দল কেকেআরকে। কলকাতাকে হারিয়ে সুপার জায়ান্টস পৌঁছে গেল প্লে অফে।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লখনউয়ের ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুল। তিনি এবং তাঁর সঙ্গী কুইন্টন ডি’ কক ব্যাট হাতে তাণ্ডব করেন। লজ্জার ব্যাপার হল, নাইটরা একটিও উইকেট ফেলতে পারেনি লখনউয়ের। রাহুল ও কুইন্টন ডি’ কক ২১০ রান তোলেন। তার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট কিপার-ব্যাটার  ১৪০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। মাত্র ৭০ বলে এই বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। ১০টি বাউন্ডারি ও ১০টি ছক্কা হাঁকান তিনি। অপরাজিত থেকে যান তিনি। রাহুলও ৬৮ রানে অপরাজিত থেকে যান। রাহুল ও কুইন্টন ডি’ কক আইপিএলের  ইতিহাসের পাতায় নাম তুলে ফেললেন। ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রান করেন রাহুল ও কুইন্টন। আরও একটি ইতিহাস গড়ল লখনউ। প্রথমে ব্যাট করে গোটা কুড়ি ওভার ব্যাট করে গেলেন লখনউয়ের দুই ওপেনার। এমন নজির নেই কোনও দলেরই। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: এএফসি কাপের শুরুতেই ধাক্কা, গোকুলামের কাছে ধরাশায়ী মোহনবাগান]

লখনউ সুপার জায়ান্টসের রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কেকেআর শিবির। ভেঙ্কটেশ আইয়ার (0) উইকেটের পিছনে ধরা পড়েন কুইন্টন ডি ককের হাতে। ব্যাট হাতে ওরকম ঝড় তোলার পরে উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে শরীর ছুঁড়ে দিয়ে দুরন্ত ক্যাচ ধরেন দক্ষিণ আফ্রিকান ডি’ কক। অভিজিৎ তোমারও (৪) ফিরে যান দ্রুত। ৯ রানে চলে যায় দুই উইকেট। 

Advertisement

এর পরে নীতীশ রানা ও  অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ইনিংস গোছানোর কাজ শুরু করেন। নীতীশ রানা ব্যক্তিগত ৪২ রানে ফেরেন। ৬৫ রানে তৃতীয় উইকেটটি হারায় কেকেআর। শ্রেয়স আইয়ার ও স্যাম বিলিংস পালটা মারের খেলা শুরু করেন। ভালই খেলছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু ব্যক্তিগত ৫০ রানে তাঁকে ফিরতে হয়। কেকেআরের রান তখন ১৩১। রবি বিষ্ণোইকে মারতে গিয়ে স্যাম বিলিংস (৩৬) আউট হন। পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপ অনুভব করতে শুরু করে কেকেআর। বাড়তে থাকে আস্কিং রেট। এই অবস্থায় কেকেআরকে বাঁচাতে পারতেন আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু এদিন তিনি মাত্র ৫ রানে ফেরেন ডাগ আউটে। সুনীল নারিন ও রিঙ্কু সিং চেষ্টা মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। রিঙ্কু সিং প্রায় অসাধ্যসাধন করে ফেলেছিলেন। কিন্তু শেষ ওভারে রিঙ্কুকে ফিরতে হয় ৪০ রানে। এক হাতে রিঙ্কুর ক্যাচ ধরেন এভিন লিউইস। ওই ক্যাচই জিতিয়ে দেয় লখনউকে। পরের বলেই স্টোয়নিস বোল্ড করেন উমেশ যাদবকে। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচ হেরে যায় কেকেআর। সেই সঙ্গে প্লে অফে যাওয়ার স্বপ্নও শেষ হয়ে যায় নাইটদের। 

[আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্রিকেটে বড় চমক, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেই কোচ হচ্ছেন লক্ষ্মণ!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ