সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৬২/৫ (অভিষেক ৪০, ক্লাসেন ৩৭, উইল জ্যাকস ১৪-২)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৬৬/৬ (জ্যাকস ৩৬, রিকেলটন ৩১, কামিন্স ২৬-৩)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৪ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরপর দুই ম্যাচে হারের পর আগের ম্যাচেই জয়ে ফিরেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)। এবার ফের জয়ের সরণিতেই যাত্রা বহাল রাখলেন রোহিতরা। লিগ টেবিলের নিচের দিকে থাকা হায়দরাবাদকে (Sunrisers Hyderabad) অনায়াসে ৪ উইকেটে উড়িয়ে দিল নিজেদের ঘরের মাঠে। কোনও সময়ই মনে হয়নি ম্যাচটা তারা হারতে পারে।
এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। কিন্তু শুরুতে হায়দরবাদ উইকেট হারায়নি। অভিষেক শর্মা ফেরেন ২৮ বলে ৪০ রান করে (৭x৪)। কিন্তু অষ্টম ওভার পর্যন্ত ওপেনিং জুটি টিকলেও রান বেশি ওঠেনি। এবং এই টিকতে পারার পিছনেও রোহিতদের ফিল্ডিংয়ের অবদান রয়েছে! তবে অভিষেক যাও বা খেললেন, ট্রাভিস হেড (২৮) একেবারেই ছন্দে ছিলেন না। স্বাভাবিক ভাবেই নেমেই চালাতে যান ইশান কিষান (২)। স্টাম্পড হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। পরে আউট হয়ে যান হেডও। সেই সময়ই পরিষ্কার হয়ে যায় সানরাইজার্স খুব বেশি রান করতে পারবে না। যদিও হেনরিখ ক্লাসেন চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেটাও (২৮ বলে ৩৭) যথেষ্ট ছিল না। শেষপর্যন্ত হায়দরাবাদ শেষ করে ৫ উইকেটে ১৬২ রানে। আসলে হেড-অভিষেকদের ব্যাট যে আজ প্রপেলারের মতো ঘুরল না, তার পিছনে ওয়াংখেড়ের পিচ একটা বড় ফ্যাক্টর। বল এতই থেমে থেমে আসছিল যে বড় হিট করাটাই সমস্যার।
যদিও রোহিত শর্মা ব্যাট হাতে ক্রিজে আসার পর মনে হচ্ছিল, এটা অন্য পিচ। বড় রান পাননি, তবু তিন ছক্কায় ১৬ বলে ২৬ রান করে মুম্বইকে একটা জমাটি ‘স্টার্ট’ দিয়ে যান ‘শর্মাজি কা বেটা’। এদিন ওয়াংখেড়েতে তাঁর আইপিএল-ছক্কার সংখ্যা একশো পেরল। শুরু থেকেই মুম্বইয়ের ব্যাটিং দেখে মনে হয়নি হায়দরাবাদের কাছে তাদের রুখতে পারার কোনও ক্ষমতা আছে বলে। রোহিত ফেরার পর রায়ান রিকেলটন (৩১, ৫x৪) দারুণ খেলে দিলেন। তিনি ফেরার পর সূর্যকুমার যাদব (২৬) ও উইল জ্যাকস স্বচ্ছন্দে স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে গেলেন। আস্কিং রেট ছয়ের নিচে নামানোর পর ফিরলেন জোড়া ছক্কা ও জোড়া বাউন্ডারি মারা সূর্য। খানিক পরে ফেরেন জ্যাকসও (৩৬)।হার্দিক যেভাবে খেলতে শুরু করেন, তাতে বোঝাই যাচ্ছিল মুম্বইয়ের জয় আর কয়েক বল দূরে। কিন্তু শেষবেলায় সামান্য ‘নাটকও’ দেখল ওয়াংখেড়ে।
একেবারে শেষে স্কোর যখন টাই, মধুরেণ সমাপয়েৎ করতে ছক্কা হাঁকাতে যান অধিনায়ক হার্দিক (৯ বলে ২১)। ধরা পড়েন মিড উইকেটে। নেমে ৩ বল খেলে লেগ বিফোর হয়ে যান নমন ধীর (০)। শেষে রিভার্স শট মেরে দলকে জয়ের রান এনে দিলেন তিলক বর্মা (অপরাজিত ২১)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.