সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেশ কয়েক বছর ধরে ক্রিকেটের ২২ গজে মানকাডিং নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এই নিয়মে কোনও ব্যাটারকে আউট করা ‘জেন্টলম্যানস গেমে’র বিরোধী কাজ বলেই মনে করা হয়। ২০১৯ সালের আইপিএলে মানকাডিং বিতর্ক উসকে দিয়েছিলেন ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তারপর থেকে একাধিকবার এর নিয়মে বদল আনার দাবি উঠেছে। আর এবার এ নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করল মেরিলিবন ক্রিকেট ক্লাব (MCC)।
কী বদল ঘটানো হল এই নিয়মে? MCC-র তরফে জানানো হয়েছে, মানকাডিংকে আর ‘আনফেয়ার প্লে’ অথবা ‘অনৈতিক খেলা’র তালিকায় রাখা হবে না। বরং এটি স্থান পাচ্ছে ‘রানআউট’ সেকশনে। অর্থাৎ হাজার বিতর্ক সত্ত্বেও পদোন্নতিই ঘটানো হল মানকাডিংয়ের (Mankading)। কেন এমন সিদ্ধান্ত? MCC-র পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, এটা হিসাব মতো রানআউট। তা সত্ত্বেও একে ‘আনফেয়ার প্লে’র তালিকায় রাখা হয়। বিষয়টিকে এমনভাবে তুলে ধরা হয় যেন বোলারই এক্ষেত্রে ভিলেন। কিন্তু এতে তো কোনও অনৈতিক বিষয় নেই। বরং নন-স্ট্রাইকার এন্ডে যিনি রয়েছেন, তিনিই নিয়ম ভঙ্গ করছেন। তাই এ নিয়ে বিতর্কের কোনও কারণই থাকতে পারে না বলে দাবি করছে MCC।
২০১৯ আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals) বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (Kings XI Punjab) ম্যাচে মানকাডিং নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। নন-স্ট্রাইকার এন্ডে থাকা জস বাটলারকে মানকাডিং করে আউট করেছিলেন অশ্বিন। এরপর এর নিয়মে বদল আনার দাবি তুলেছিলেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি মুথাইয়া মুরলীধরন। অনেকে আবার চেয়েছিলেন, ক্রিকেট থেকে মুছে ফেলা হোক মানকাডিং। কিন্তু শেষমেশ দেখা গেল, মানকাডিংয়ের পদোন্নতিই ঘটল।
তবে শুধু এই নিয়ম নয়, MCC-র আওতায় থাকা আরও একটি নিয়মে বদল ঘটানো হল। জানানো হয়েছে, বলে থুথু লাগানোর নিয়ম চিরতরে নিষিদ্ধ করা হল। করোনা আবহে থুথু লাগানোয় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও পরিচ্ছন্নতার কথা ভেবে এবার এটি চিরকালের জন্য নিষিদ্ধ হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.