সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোড়া সেঞ্চুরি। একদিকে মুরলি বিজয়, আরেকদিকে চেতেশ্বর পূজারা। দু’জনের ব্যাটিং দাপটে নাগপুরে টেস্টে চালকের আসনে ভারত। দ্বিতীয় দিনের শেষে শ্রীলঙ্কার রানকে অতিক্রম করে ১০৭ রানে এগিয়ে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। মুরলি বিজয় আউট হয়ে গেলেও আরেক শতরানকারী চেতেশ্বর পূজারা অপরাজিত রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে রয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
[একদিনের ম্যাচে মাত্র ২ রানেই অলআউট গোটা টিম!]
শনিবারের নাগপুরের গোটা দিনটাই রাজত্ব করলেন দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যান মুরলী বিজয় এবং চেতেশ্বর পুজারা। তাঁদের ব্যাটিংয়ের ধর্মই হল, দেখনদারিতে যাব না। কার্যকারিতায় মন দেব। বিরাট কোহলির মায়াবী ব্যাটিং সৌন্দর্য এই দুইয়ের থেকে পাওয়া যাবে না। রোহিত শর্মার আলস্য মিশ্রিত রাজকীয়তাও নয়। কিন্তু একটা কাজ বিজয় এবং পুজারা দিনের পর দিন অক্লান্ত ভাবে করে যেতে পারেন। তা হল, বোলারকে ক্নান্ত করে করে ভুল করতে বাধ্য করা। এবং সেটা করে, ম্যাচের রাশ টিমের হাতে তুলে দেওয়া। এ দিন সকালে ঠিক সেটাই আবার দেখা গেল। পুজারা এবং বিজয় একটা সময় পর্যন্ত গতকালের শ্রীলঙ্কার মতোই ধীরে সুস্থে ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু সেটা আপাত দৃষ্টিতে। আসলে তাঁরা দু’জন মিলে সকালের প্রথম ঘণ্টাটা নির্ভুল ভাবে কাটিয়ে দিতে চাইছিলেন। এবং সেই প্রচেষ্টায় তাঁরা সফলও হলেন। প্রথমে বিজয় এবং পরে পূজারা-দুজনেই শতরান পূর্ণ করলেন। আর এই দু’জনের সৌজন্যে দিনের শেষে ভারতের রান দু’উইকেটে ৩১২। ক্রিজে পূজারা (১২১) এবং বিরাট (৫৪)।
[আইএসএল ম্যাচে মহিলা সমর্থকের সঙ্গে অশালীন ‘আচরণ’, ক্ষুব্ধ জন]
ধরমশালায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টের পর টেস্ট জার্সিতে আর খেলেননি বিজয়। মাঝে চোট থাকায় শ্রীলঙ্কা সফরেও তাঁর যাওয়া হয়নি। ইডেনে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গত টেস্টেও তিনি ছিলেন না। শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে লোকেশ রাহুলকে খেলানো হয়। নাগপুরে রাহুল আছেন। ধাওয়ান নেই। আর বিজয় সুযোগটা পেয়ে দারুণ ভাবে কাজে লাগালেন। আউট হলেন কেরিয়ারের ১০ নম্বর সেঞ্চুরিটি করে। তবে ব্যক্তিগত ১৯ রানের মাথায় একবারই একটা সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু ক্যাচটা এতটাই কঠিন ছিল যে শর্ট লেগের পক্ষে তা ধরা সম্ভব হয়নি। সে সব যাক। একটা ক্রিকেট ম্যাচে এ সব ছুটকোছাটকা ব্যাপার ঘটেই থাকে। সত্যিটা হল, বিজয় সকাল থেকে যে ভাবে খেলছেন তাতে নাগপুরে তাঁর সেঞ্চুরি প্রাপ্যই ছিল। শুধু তাই নয়, নতুন বল সামলানোয় তাঁর দক্ষতা দেখে দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁকেই খেলানো উচিত– এ হেন কথাবার্তা কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়ে গেল।
[আম আদমির মতোই লাইনে দাঁড়িয়ে রাহুল দ্রাবিড়, কুর্নিশ নেটদুনিয়ার]
শুধু বিজয় নন, পূজারার ইনিংসের দিকেও নজর দেওয়া উচিত। বিজয়ের মতো তাঁর ইনিংসও প্রশংসার দাবি রাখে। আসলে এ দিনের নাগপুরের প্রথম ঘণ্টার পিচ ব্যাট করার পক্ষে যথেষ্ট কঠিন ছিল। লাকমল-গামাজের কয়েকটা লাফিয়ে ওঠা বল সমস্যায় ফেলছিল পূজারাকে। বিজয়কে আবার ভোগাচ্ছিলেন রঙ্গনা হেরাথ। কিন্তু পরে চড়া রোদ উঠে পিচটা একটু শুকনো হতেই স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটালেন দু’জন। শেষপর্যন্ত ১২১ রানে হেরাথের বলেই আউট হলেন বিজয়। যদিও পূজারার সঙ্গে ক্রিজে থাকা বিরাট কোহলিও ইতিমধ্যে অর্ধ-শতরান করে ফেলেছেন।