সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম দিনের মতোই ইডেনে অনুষ্ঠিত ভারত-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় দিনের খেলাও ভেস্তে গেল। সৌজন্যে সেই বৃষ্টি। গত বুধবার থেকে শুরু হয়ে শুক্রবারও যা ভুগিয়ে চলছে রাজ্যবাসীকে। প্রথম দিন ১২ ওভারের পর এদিন খেলা হল মাত্র ২০.৫ ওভার। অর্থাৎ দু’দিন মিলিয়ে নষ্ট হল প্রায় ১৪৮ ওভার। এর মধ্যে আবার এদিন আরও দুই উইকেট খুইয়েছে ভারত। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ভারতের স্কোর ৭৪ রানে পাঁচ উইকেট। একা কুম্ভ হয়ে লড়ছেন চেতেশ্বর পূজারা। তাঁর সংগ্রহ ৪৭ রান। উলটোদিকে ক্রিজে রয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা(৬)। এদিন আউট হয়েছেন আজিঙ্ক রাহানে(৪) এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন(৪)।
[দূষণ রোধে এগিয়ে আসতে দিল্লিবাসীকে বার্তা বিরাট কোহলির]
এর আগে হয়তো ইডেনকে এতটা জনমানবশূন্য দেখা যায়নি। ’৯৯-তে যেমন ইডেন ফাঁকা করে ভারত-পাক খেলা হয়েছিল। ঠিক তারই যেন প্রতিবিম্ব দেখা গেল শুক্রবার। বৃষ্টি অবশ্যই একটা ফ্যাক্টর। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় অনেকে আর ইডেনমুখো হননি। সেই সঙ্গে কাজের দিন পড়ে গিয়েছে। শনিবার বা রবিবার হয়তো দর্শক সংখ্যা কিছুটা বাড়বে। ক্রিকেট পিপাসুদের মাঠ বিমুখ হওয়ার আরও একটা কারণ হতে পারে-শ্রীলঙ্কা দুর্বল দল বলে। যতই হোক বিশ্ব ক্রিকেটে এখন শ্রীলঙ্কাকে কেউ আর তেমন ধর্তব্যের মধ্যে আনে না। তাই বলে এত ফাঁকা? ক্রিকেট নিয়ে কী সাধারণ মানুষের আগ্রহে ভাটা পড়েছে? আগ্রহে যে ভাটা পড়েছে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যতই মন্দ আবহাওয়া হোক, কাজের দিন পড়ুক, প্রতিপক্ষ দুর্বল হোক, ভারতীয় তারকা দর্শনে ভিড় জমবে না তা কখনও হয় নাকি? বিরাট কোহলিকে দেখার জন্য তো এক শ্রেণির ক্রিকেট পিপাসুরা ঠিক মাঠে চলে আসতেন। এখন কোহলি তো রীতিমতো তরুণীদের কাছে হার্টথ্রব। তাহলে সেই কোহলিকে দেখার জন্য কেন সাধারণ ক্রিকেট অনুরাগীরা আগ্রহ দেখাবে না? এখানেই তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ক্রিকেট থেকে মানুষ বোধহয় মুখ ঘোরাতে শুরু করেছেন। নাহলে মেরে কেটে হাজার খানেক দর্শক মাঠে আসবেন কেন?
[২০১৮ বিশ্বকাপে ৩২টি দেশ চূড়ান্ত, কাদের দেখা যাবে রাশিয়ায়?]
ইডেনে বসে এক সাংবাদিক বলেন, ক্রীড়া দপ্তর থেকে একগুচ্ছ টিকিট ফুটবলার বিদেশ বোসকে দেওয়া হয়েছিল। সেই বিদেশ নাকি মোহনবাগান মাঠে বসে টিকিট নেওয়ার লোক পাচ্ছিলেন না। “কেউ একটাও টিকিট চাইছে না। টিকিটগুলো নিয়ে যে কী করব, তাই বুঝে উঠতে পারছি না।” বিদেশ নাকি মোহনবাগানের রিজার্ভ বেঞ্চে বসে কথাগুলো বলছিলেন। তবে চাক্ষুষ দেখা, ক্লাব হাউসের টিকিট বিক্রি হয়েছে বড়জোর একশো টাকায়। এত খারাপ পরিস্থিতি কখনও ক্রিকেটে দেখা যায়নি। হয়তো একদিনের ক্রিকেট হলে, পালটে যেত ছবিটা। তবে টেস্ট ক্রিকেটে এমন নিদর্শন মোটেই ভাল বিজ্ঞাপন নয়।