সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পারলেন না মনোজ তিওয়ারি-মহম্মদ শামিরা। তীরে এসে ডুবল তরী। বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালে ৩৭ রানে তামিলনাড়ুর কাছে হেরে গেল বাংলা। জয়ের জন্য ২১৮ রান তাড়া করতে নেমে ১৮০ রানেই গুটিয়ে যায় মনোজদের ইনিংস।
[দেশের প্রথম ‘প্রাণী’ গঙ্গা নদী, জানাল আদালত]
সোমবার দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলাতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তামিলনাড়ু অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। কিন্তু অশোক দিন্দা-মহম্মদ শামির বোলিংয়ের সামনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তামিলনাড়ুর ওপেনাররা। একটা সময় মাত্র ৪৯ রানে চার উইকেট পড়ে যায় তাঁদের। এই সময় দলের হাল ধরেন অধিনায়ক কার্তিক এবং ইন্দ্রজিৎ। দু’জন মিলে প্রায় ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেন। ৩২ রান করে রান আউট হন ইন্দ্রজিৎ। তবে উল্টোদিকে দুর্দান্ত ব্যাট করেন দীনেশ কার্তিক। বাকি ব্যাটসম্যানদের নিয়ে দলের রান ২০০-র গণ্ডি পার করতে সাহায্য করেন। আউট হন সবার শেষে। ১৪টি চারের সাহায্যে ১২০ বলে ১১২ রান করেন কার্তিক। তাঁর মূল্যবান উইকেটটি পেয়েছেন মহম্মদ শামি। শেষ পর্যন্ত ৪৭.২ ওভারে ২১৭ রানেই অলআউট হয় তামিলনাড়ু।
[মার্শ-হ্যান্ডসকম্বের হাত ধরে হার বাঁচাল অস্ট্রেলিয়া]
বাংলার বোলারদের মধ্যে শামি চারটি, দিন্দা তিনটি এবং কণিষ্ক শেঠ একটি উইকেট পেয়েছেন। চোট সারিয়ে ফেরার পর অবশেষে চেনা ছন্দে পাওয়া গেল মহম্মদ শামিকে।
[কোথায় প্রশান্ত কিশোর? জানালে পুরস্কার পাঁচ লক্ষ]
এদিন বঙ্গ পেসাররা দলকে যে অ্যাডভান্টেজ এনে দিয়েছিলেন তা নষ্ট করে দেন বাংলার ব্যাটসম্যানরা ২১৮ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকেন তাঁরা। ৩৭ রানে তিন উইকেট পড়ে যায়। প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অভিমন্যু ইশ্বরন(১), অগ্নিভ পান (০) এবং শ্রীবৎস গোস্বামী(২৩)। এরপর বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি(৩২), সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৫৮), অনুষ্টুপ মজুমদাররা (২৪) চেষ্টা করেও বাংলাকে কাঙ্খিত জয় এনে দিতে পারেননি। শেষপর্যন্ত ৪৫.৫ ওভারে ১৮০ রানে শেষ হয় বাংলার ইনিংস।
[নারদ মামলায় ম্যাথু স্যামুয়েলকেও জেরা করবে সিবিআই]
তামিলনাড়ু বোলারদের মধ্যে অশ্বিন ক্রিস্ট, মহম্মদ ও রাহিল শাহ দু’টি করে উইকেট পেয়েছেন। এছাড়া ভি শঙ্কর, বাবা অপরাজিত ও সাই কিশোর একটি করে উইকেট পেয়েছেন।