সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্টিন গাপ্তিলের একটা থ্রো ভারতের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছিল ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে। কিউয়ি ক্রিকেটারের ঘাতক থ্রো বেল ফেলে দেয়। মহেন্দ্র সিং ধোনি তখনও ক্রিজ থেকে কয়েক সেন্টিমিটার দূরে ছিলেন। সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যায় ভারত। আর তার পরই ভারতীয় শিবির দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে যায়।
বিশ্বকাপ চলাকালীন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল, রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও বিরাট কোহলির (Virat Kohli) মধ্যে ব্যক্তিত্বের সংঘাত চলছে। দ্বিধাবিভক্ত ভারতীয় শিবির। দুটো গোষ্ঠীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। ভারতের প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের বইয়ে তারই উল্লেখ রয়েছে। হেড কোচ রবি শাস্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে এই সমস্যার সমাধান করেছিলেন বলে লিখেছেন শ্রীধর। কোচিং বিয়ন্ড: মাই ডেজ উইথ দ্য ইন্ডিয়ান ক্রিকেট শ্রীধরের বই। তিনি লিখেছেন, ”২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পরে আমরা জানতে পেরেছিলাম রোহিত ক্যাম্প আর বিরাট ক্যাম্পে বিভক্ত হয়েছে দল। সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরকে ব্লক করেছিল বলে শুনেছিলাম। এই সমস্যা যদি জিইয়ে রাখা হত, তাহলে সমস্যা আরও ঘণীভূত হত।”
[আরও পড়ুন: কেরিয়ার ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি প্রাক্তন স্ত্রীর! আদালতের লড়াইয়ে ‘জয়ী’ শিখর ধাওয়ান]
বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরেই ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল। সেই সময় রবি শাস্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। দুই তারকা বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার মধ্যে ব্যক্তিত্বের সংঘাত মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। শাস্ত্রীর নির্দেশ মেনে চলেন রোহিত ও কোহলি। শ্রীধর লিখেছেন, ”বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার ১০ দিন পরে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নামি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ছিল আমাদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নামার পর বিরাট ও রোহিতকে নিজের ঘরে ডাকেন রবি। নিজস্ব স্টাইলে ওদেরকে বলেন, ভারতীয় ক্রিকেটের সুস্বাস্থ্যের জন্য দু’জনকেই একই পথে হাঁটতে হবে। রবি বলেছিল, সোশ্যাল মিডিয়ায় যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে, এটা মনে রাখতে হবে তোমরা দু’ জন দলের সবথেকে সিনিয়র ক্রিকেটার। এবার এ সব বন্ধ কর। সবকিছু পিছনে ফেলে এবার সামনের দিকে এগোও।”
এরপরই পরিস্থিতির উন্নতি হয়। রবি শাস্ত্রীর পদক্ষেপের প্রশংসা করেন শ্রীধর। দু’ জনকে পাশে বসিয়ে কথা বলে সমস্যার সমাধান করেন তৎকালীন ভারতীয় দলের হেড কোচ।