সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২০৫ দিন। প্রায় সাড়ে ৩ বছর। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটল আহমেদাবাদে। টেস্ট ক্রিকেটে ফের শতরান এল বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ব্যাটে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সেঞ্চুরির অপেক্ষার অবসান ঘটেছে গত বছর শেষের দিকেও। এবার টেস্ট ক্রিকেটেও সেই অপেক্ষা মিটল। রাজা যেন স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন ঘটালেন সিংহাসনে!
Virat Kohli scores a Test hundred for the first time in over two years #WTC23 | #INDvAUS | https://t.co/VJoLfVSeIF pic.twitter.com/2v5MzV4qcL
— ICC (@ICC) March 12, 2023
বিরাটের ব্যাট থেকে শেষ টেস্ট সেঞ্চুরি (Test Century) এসেছিল ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইডেনে দিন-রাতের টেস্টে। তারপর দীর্ঘ অপেক্ষা। এই সাড়ে তিন বছরে বিরাটের সঙ্গী ছিল শুধুই ব্যর্থতা। যার জেরে ভারতীয় ক্রিকেটের অবিসংবাদী সম্রাটকে সমালোচনা নেহাত কম শুনতে হয়নি। কোনও কোনও মহল তাঁকে দলে রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু বিরাটের প্রতিভার উপর আস্থা ছিল টিম ইন্ডিয়ার। বিশ্বাস ছিল, তিনি ফিরবেনই, তাঁর সেঞ্চুরি পাওয়াটা সময়ের অপেক্ষা। গত বছর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি শতরানের খরা কাটিয়ে ফেলেছিলেন বিরাট। এবার ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাটেও পেলেন তিন অঙ্কের রান।
[আরও পড়ুন: অনশন ছেড়ে আলোচনায় বসুন, DA আন্দোলনকারীদের বার্তা রাজ্যপালের]
অবশেষে তিনি ফিরলেন। আহমেদাবাদে (Ahamedabad Test) অজিদের বিরুদ্ধে ঝকঝকে ইনিংসে নিজের টেস্ট কেরিয়ারের ২৮ তম এবং আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ৭৫তম শতরানের ইনিংসটি খেলে ফেললেন কোহলি। যদিও বিরাটের এই সেঞ্চুরির পথ খুব একটা মসৃণ ছিল না। সেভাবে অজিদের সুযোগ না দিলেও ম্যাচের চতুর্থ দিন প্রতিটা রানের জন্য লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে। সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে ২৪১টি বল খরচ হয়েছে তাঁকে। শতরানের ইনিংসে মাত্র ৫টি বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। কিন্তু ওই যে কথায় আছে সবুরে মেওয়া ফলে। অবশেষে বিরাটের ব্যাটে সেই মেওয়া ফলল।
The Man. The Celebration.
Take a bow, @imVkohli #INDvAUS #TeamIndia pic.twitter.com/QrL8qbj6s9
— BCCI (@BCCI) March 12, 2023
[আরও পড়ুন: ৩ দিনের ইডি হেফাজতে শান্তনু, নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলবন্দিদের নিশানা কুন্তল ঘনিষ্ঠ নেতার]
তবে বিরাটের এই সেঞ্চুরির পরও আহমেদাবাদ টেস্টে খুব একটা সুবিধাজনক জায়গায় নেই ভারত। আসলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship) ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করতে এই ম্যাচ জিততেই হবে ভারতকে। কিন্তু চতুর্থ দিন সকালে যে গতিতে ভারতীয়রা ব্যাটিং করেছেন, তাতে জয়ের লক্ষ্যে এগোনোটা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দিহান ক্রিকেট মহল।