সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে বিরাট কোহলির সম্পর্ক কেমন? এই প্রশ্নের ক্ষেত্রে অনেকেই বলবেন, কেন ভাল। উদাহরণ হিসেবে তাঁরা টেনে আনতেই পারেন ভারতীয় কোচের পদ থেকে অনিল কুম্বলকে ছাঁটাইয়ের ঘটনা। কিন্তু না, বর্তমানে বোর্ডের সঙ্গে ভারত অধিনায়কের সম্পর্ক মোটেই মধুর নয়। অন্তত নাগপুরে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের দু’দিন আগে ক্রীড়াসূচি নিয়ে বোর্ড কর্তাদের বিরুদ্ধে যেভাবে মুখ খুললেন বিরাট, তা প্রমাণ করে সেকথাই। সামনেই দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কঠিন সফর। যেখানে তিনটি টেস্ট, ছ’টি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে হবে ভারতকে। আর বিরাটের মতে, এই কঠিন সিরিজের আগে একটুও প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ই পেল না তাঁর দল। এরকম ঠাসা ক্রীড়াসূচিতে আখেরে ক্ষতিগ্রস্ত হল তাঁদের প্রস্তুতি।
[কোচবিহার ট্রফিতে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিল শচীনের ছেলে অর্জুন]
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ শেষ হওয়ার দু’দিন পরই ভারতীয় দলকে উড়ে যেতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা৷ ২৪ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচ খেলেই ২৭ ডিসেম্বর জোহানেসবার্গের উদ্দেশে রওনা দেবে টিম ইন্ডিয়া৷ পারলেতে ৩০ ডিসেম্বর থেকে দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর ৫ জানুয়ারি থেকে কেপটাউনে প্রথম টেস্টে খেলতে নামবেন বিরাটরা৷ আর এরকম ঠাসা ক্রীড়াসূচি নিয়েই তোপ দাগলেন ভারত অধিনায়ক। শ্রীলঙ্কা সফরকেই কী দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে ভারতীয় দল? প্রাক ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলনে এসে এই প্রশ্নের জবাবেই বিরাট ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যের যে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগে আমরা হাতে কেবল দু’দিন সময় পাব। তাই আগামী সফরের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কোনও জায়গাই নেই আমাদের কাছে। একমাস সময় পেলে হয়তো ভাল প্রস্তুতি নিতে পারতাম। কিন্তু এখন হাতের কাছে যা আছে সেই নিয়েই প্রোটিয়া সফরের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’
এরপরই সমালোচকদের একহাত নেন ভারত অধিনায়ক। পারফর্ম না করলে সমালোচনা করা হয়, কিন্তু কখনই দেখা হয় না প্রস্তুতির জন্য আমরা কতটা সময় পাচ্ছি। বিরাটের কথায়, ‘কোনও দল বিদেশ সফরে গিয়ে কীরকম পারফরম্যান্স করছে, সেটা দেখে তাঁদের সহজেই যাচাই করা সম্ভব৷ কিন্তু সফরে গিয়ে সিরিজের প্রস্তুতির জন্য তাঁরা কতদিন সময় হাতে পাচ্ছে, সেটা কখনই দেখা হয় না৷ সবাই শুধু খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের দিকেই তাকায়। বিদেশ সফরে ভাল পারফরম্যান্স করার আগে আমাদেরও প্রয়োজনীয় সময় এবং সুযোগ দেওয়া দরকার৷ তারপর সমালোচনা করা উচিত৷’ এদিকে, ভারত অধিনায়কের এই অভিযোগের পরেই নড়চড়ে বসেছেন বোর্ড কর্তারা। বিসিসিআইয়ের কার্যনির্বাহী সভাপতি সি কে খান্নার মতে, ঠাসা ক্রীড়াসূচি নিয়ে ভারত অধিনায়কের এই মন্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তাঁর কথায়, ‘বিরাট ভারতীয় দলের অধিনায়ক। তাই খেলার ব্যাপারে ওর যেকোনও বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। বর্তমানে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সে আমরা গর্বিত। তাই আমাদেরও দেখতে খেলোয়াড়রা যাতে ক্লান্ত না হয়ে পড়েন। এ ব্যাপারটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে আমাদের।’