Advertisement
Advertisement

Breaking News

ডার্বির আগে সৌজন্য, বাগান তাঁবুতে গিয়ে হামলার নিন্দা ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের

সমর্থকদের সংযত থাকার বার্তা।

East Bengal officials visit Mohun Bagan tent regarding attack
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 20, 2017 3:48 pm
  • Updated:September 20, 2017 3:48 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহালয়ার সন্ধেয় মোহনবাগান তাঁবুতে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ভাঙচুরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তেতে উঠেছিল ময়দান। ঘটনায় বেশ কয়েকজন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের বিরুদ্ধে ময়দান থানায় এফআইআরও করেছেন মোহনবাগান কর্তারা। বুধবার অবশ্য সৌজন্যের বার্তাই দিলেন দুই প্রধানের কর্মকর্তারা। মাঠের লড়াই মাঠেই সীমাবন্ধ রাখার জন্য সমর্থকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

[ফের কলঙ্কিত পাক ক্রিকেট, স্পট-ফিক্সিংয়ের অভিযোগে নির্বাসিত খালিদ]

Advertisement

সন্ধির বার্তা দিতে বুধবার বিকেলে মোহনবাগান তাঁবুতে যান দেবব্রত সরকার-সহ ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তারা। মোহনবাগান কর্তাদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন তাঁরা। বৈঠকে হাজির  ছিলেন  মোহনবাগান সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু, অর্থ-সচিব দেবাশিস দত্ত। মোহনবাগান তাঁবুতে ভাঙচুরের ঘটনার কড়া নিন্দা করেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। তিনি বলেন, যারাই এই কাজ করে থাকুন না কেন, তাদের চিহ্নিত করে কড়া ব্যবস্থা নিক প্রশাসন। লাল-হলুদ শিবিরের সৌজন্যের প্রশংসা করেন মোহন কর্তা দেবাশিস দত্তও। তাঁর বক্তব্য, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব নয়, ক্লাবের সমর্থকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। প্রশাসন নিয়ম মেনেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

Advertisement

[পুজোর আগে কোহলিদের ম্যাচ দেখার আগ্রহ নেই ইডেনের]

মঙ্গলবার কী ঘটেছিল মোহনবাগান তাঁবুতে?  সেদিন নিজেদের মাঠে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে বড় জয় পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। অভিযোগ,  ডার্বির আগে এই জয়ের আনন্দে বাড়ি ফেরার পথে মোহনবাগান তাঁবুতে ভাঙচুর চালান কয়েকজন উগ্র ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। ভেঙে দেওয়া হয় শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের গেট। ঘটনার সময়ে মোহনবাগান তাঁবুতে একটি ফ্যান ক্লাবের তরফে মালিদের বস্ত্র বিতরণের অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে হাজির ছিলেন বেশ কিছু মহিলা সমর্থকও। অভিযোগ, লেডি মেরিনার্সদের উদ্দেশে কটুক্তিও করেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের একাংশ। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে মোহনবাগান সমর্থকদেরও বাঁশ নিয়ে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায়। সবমিলিয়ে দেবীপক্ষের শুরুতেই শোরগোল পড়ে যায় ময়দানে।

[পদ্মভূষণ দেওয়া হোক ধোনিকে, সুপারিশ বিসিসিআইয়ের]

তবে কর্মকর্তা যাই বলুন না কেন, রবিবার ডার্বির আগে এই ঘটনা লাল-হলুদ ও সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা পারদ যে অনেকটাই চড়িয়ে দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। বস্তুত, বুধবারও এই ঘটনা  নিয়ে সরগরম ছিল সোশ্যাল মিডিয়া। বড় ম্যাচের ৯৬ ঘণ্টা আগে দুই ক্লাবের শীর্ষ কর্তাদের এই শান্তির বার্তা সমর্থকদের কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে তা নিয়ে এখন ময়দানে জল্পনা।

[পাণ্ডিয়াকে নিয়ে মন্তব্য করে নেটদুনিয়ায় হাসির খোরাক এই পাক সাংবাদিক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ