সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনা চলছিল আগেই। এবার তাই বাস্তবে পরিণত হল। অ্যালভিটো ডি’কুনহাকে সিনিয়র দলের যাবতীয় দায়িত্ব থেকে ছেঁটে ফেলল ইস্টবেঙ্গল।
গত সপ্তাহে ক্লাবের কাজে মুম্বই গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। সেই সময়ই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রায় হয়ে গিয়েছিল। তিনি শহরে ফিরলে সিলমোহর পড়ে সেই সিদ্ধান্তে। ঠিক হয়েছে সিনিয়র দলের কোনও বিষয়ে আর হস্তক্ষেপ করবেন না এক সময়ে ইস্টবেঙ্গলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর অ্যালভিটো। উল্লেখ্য, চলতি মরশুমেও দলগঠনে অন্যতম ভূমিকায় ছিলেন তিনি। তবে গত মরশুমেই অ্যালভিটোর প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সমর্থকরা। তাঁর বিরুদ্ধে ফুটবলার থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগও তুলেছিলেন অনেকে। দীর্ঘদিন কোনও জাতীয় ট্রফি ক্লাবে না আসাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে সমর্থকরা এসব অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছিলেন ফুটবলার রিক্রুটার অ্যালভিটো। তবে অ্যালভিটোকে সরানোর সিদ্ধান্তর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ।
[মোহনবাগানের অন্দরের বিবাদ মেটাতে এবার আসরে ‘অভিভাবক’ টুটু বোস]
ক্লাবের তরফ থেকে তাঁকে বলা হয়েছে, আপাতত জুনিয়র দলে রঞ্জন চৌধুরির (সিনিয়র) সহকারি হয়ে কাজ করতে। দেওয়া হয়েছে অন্য এক পরামর্শও। তাঁকে ও সিনিয়র দলের সহকারি কোচ রঞ্জন চৌধুরিকে (জুনিয়র) বলা হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব এ লাইসেন্স করে ফেলতে। প্রয়োজনে ক্লাবের সাহায্যও নিতে পারেন তাঁরা। আসলে ইস্টবেঙ্গল চাইছে যত বেশি সম্ভব ‘এ’ লাইসেন্স ডিগ্রিধারী কোচকে দলের সঙ্গে রাখতে। যাতে একদিকে এএফসি’র বিভিন্ন লাইসেন্সিং শর্তাবলী পূরণ করা যায়। আবার প্রয়োজনে সিনিয়র দলের কোচ হিসাবে বিকল্পও হাতে থাকে।
এর পাশাপাশি নতুন মরশুমের কোচ নিয়োগ, বাজেট ইত্যাদি নিয়ে কাজ শুরু করে দিল ইস্টবেঙ্গল। এদিন দুপুরে এটিকের সহকারী কোচ বাস্তব রায়ের সঙ্গে আলোচনা করে ইস্টবেঙ্গল। বাস্তব অবশ্য আলোচনার কথা স্বীকার করেননি। এর পাশাপাশি ফেডারেশন এদিন চিঠি দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের কাছে জানতে চায় মিনার্ভার অভিযোগ কতটা বাস্তব?