আইজল এফসি-০ ইস্টবেঙ্গল-০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিতলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে পারতেন ওয়েডসন-প্লাজারা। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের একাধিক সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। কটকের বারাবটি স্টেডিয়ামে আই লিগ জয়ী আইজল এফসির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ফলে তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে রানার্স হয়েই শেষ চারে যেতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। উল্টোদিকে, তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে গেল পাহাড়ের দলটি।
[আইএস-এর যন্ত্রণা নিবারণে ওষুধ যাচ্ছে ভারত থেকে!]
বৃহস্পতিবার বিকেলে চেন্নাই সিটির কাছে চার্চিল ব্রাদার্স হেরে যাওয়ার পরেই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল আই লিগ চ্যাম্পিয়ন আইজলের কাছে হারলেও ফেডারেশন কাপের শেষ চারে চলে যাবে ইস্টবেঙ্গল। আর তাই এদিন গ্রুপের শেষ ম্যাচে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছিল প্রথম একাদশে। কিন্তু খেলায় তার কোনও ছাপ পড়ল না। এদিনও খেলায় তেমন কোনও পরিবর্তন আনতে পারলেন না মহম্মদ রফিক-সামাদ আলি মল্লিকরা। মাঝমাঠে খেলা তৈরি করেও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোলের মুখ খুলতে বারবার ব্যর্থ হয় ইস্টবেঙ্গল।
[নারদ কাণ্ডে ম্যাথুকে ১৮ মে তলব ইডির]
কটকের বারাবটি স্টেডিয়ামে একাই হ্যাটট্রিকের সুযোগ নষ্ট করলেন ইস্টবেঙ্গলের ফরোয়ার্ড উইলিস প্লাজা। আর কতদিন তিনি বড়লোকের বাউন্ডুলে ছেলের মতো গোল নষ্ট করবেন সেটা হয়ত কেউই জানেন না। মর্গ্যানের আমলে যে উইং-প্লে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেটা আবারও ফিরে এসেছে। কিন্তু ডানদিক-বাঁদিক থেকে ভেসে আসা বলগুলোকে কেউই গোলে রাখতে পারেননি। কখনও প্লাজা, কখনও মহম্মদ রফিক একের পর এক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। এর পাশাপাশি ছিল আইজলের গোলরক্ষক এবং ডিফেন্ডারদের নাছোড় মনোভাব। বেশ কয়েকবার তেকাঠির নিচে দলের পতন রোধ করেন আইজল গোলকিপার। ফলে গোটা নব্বই মিনিটে একটি গোলও করতে পারলেন না লাল-হলুদ খেলোয়াড়রা।
[এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতলেন ভারতীয় কুস্তিগির]
উল্টোদিকে, বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল আইজলও। ডিফেন্সে বুকেনিয়ার অনুপস্থিতিতে মাঝেমধ্যেই গোলমুখ খুলে ফেলার চেষ্টা করেছিল তাঁরা। কিন্তু লাল-হলুদ ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষক শুভাশিষের তৎপরতায় কোনও অঘটন ঘটেনি।