Advertisement
Advertisement

Breaking News

গ্যালারিতে এবার ‘দ্বাদশ ব্যক্তি’ ক্লোভিসকে মিস করবেন নেইমাররা

ফুটবল দেবতার পরম ভক্ত এবার নেই৷

FIFA World Cup 2018: Brazil is goingg to miss urdent fan clovis fernandes
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 17, 2018 6:19 pm
  • Updated:June 17, 2018 6:19 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঠে নেমে ফুটবল খেলেন এগারো অশ্বারোহী৷ আর গ্যালারিতে বসে তাঁদের প্রতি পাসে-ড্রিবলে খেলাটা খেলেন লক্ষ লক্ষ সমর্থকরা৷ গোলে বল জড়ান খেলোয়াড়রাই, তাঁদের ব্যক্তিগত দক্ষতায়৷ কিংবা টিম গেমের ফসল হিসেবে৷ আর বাইরে থেকে মনে মনে যেন সে গোলের অংশীদার হয়ে থাকেন ওই সমর্থকরাও৷ তাঁদের নাম স্কোরবোর্ডে লেখা থাকে না৷ তবে কারও কারও নাম লেখা থাকে ইতিহাসে৷ যেমন থাকবে ব্রাজিলের সুধীর কুমার ক্লোভিস ফার্নান্ডেজের নাম৷

[  আজ বিশ্বকাপে শুরু ব্রাজিলের অভিযান, মেসি-রোনাল্ডোর পর নেইমারের দিকে তাকিয়ে বিশ্ব ]

Advertisement

Advertisement

হ্যাঁ, ফুটবল খেলোযাড়রাই খেলেন বটে৷ তবে তাঁদের সঙ্গেই মনে মনে খেলে যান সমর্থকরা৷ যেমন এই ক্লোভিস৷ যেমন শচীনের জন্য গায়ে তেরঙ্গা এঁকে সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়ান সুধীর কুমার৷ আর ফুঁ দেন জয়ের শঙ্খে৷ সুতরাং সমর্থক ছাড়া কোথাও যেন ফুটবলারের কৃতিত্বও জৌলুস হারায়৷ বিপক্ষকে পর্যুদস্ত করে যখন তাঁরা গ্যালারির সামনে চলে আসেন, তখন ওই কোটি কণ্ঠের নিনাদই তাঁদের মাথায় পরিয়ে দেয় জয়ের তাজ৷ আজও কোনও সোনার ট্রফি এই মুহূর্তের গৌরবকে পরাস্ত করতে পারেনি৷ সমর্থক তো অনেকেই থাকেন৷ তবে সুধীর কুমারের মতো ক্লোভিসও ব্যতিক্রম৷ ব্রাজিলের খেলোয়াড়, সমর্থকরা সকলেই তাঁকে চেনেন৷ শুধু সাম্বার দেশ নয়, তাঁকে চেনেন গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা৷ গত বিশ্বকাপে জার্মানদের নাৎসি জেদ তখন ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে সাম্বার স্বপ্নের খেলাঘর৷ দিশেহারা মার্সেলোরা কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না৷ হাটখোলা রক্ষণে বারবার আক্রমণ হানছেন জার্মানিরা আর গোলের খই ফুটছে৷ গ্যালারিতে কেঁদে আকুল সমর্থকরা৷ ঠিক তখনই হাতে বিশ্বকাপের রেপ্লিকা নিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছিলেন ক্লোভিস৷ তখনও তিনি আশা ছাড়েননি৷ বৃথা আশা মরিতে মরিতেও মারে না৷ তবু আশার ছলনে ভুলি কী ফল লভিনু হায়! কবির আক্ষেপই সেদিন ম্যাচ শেষে অশ্রুবিন্দু হয়ে ফুটে উঠেছিল বৃদ্ধ ক্লোভিসের চোখে৷ তবে ফুটবলে স্পিরিটই শেষ কথা৷ বিশ্বকাপ থেকে সেবার বিদায় নিয়েছিল ব্রাজিল৷ ক্লোভিসও তাঁর বিশ্বকাপের রেপ্লিকাটা তুলে দিয়েছিলেন জার্মানি সমর্থকদের হাতে৷ সেরাকে যিনি শিরোপা দিতে পারেন অকপটে, তাঁর হৃদয়ের প্রশস্ততা গোটা বিশ্বের কাছেই অনুকরণীয় হয়ে ওঠে৷ ক্লোভিসও তাই থেকেছেন৷

[  বিশ্বকাপে ম্যাচ চলাকালীন লোডশেডিং নয়, কড়া নির্দেশ রাজ্যের ]

১৯৯০ থেকে ২০১৪, টানা গ্যালারিতে হাজির থেকে বিশ্বকাপ দেখেছেন৷ ব্রাজিল যেখানে সেখানেই তিনি৷ এর মধ্যে দুবার ব্রাজিলের হাতে বিশ্বকাপ উঠতেও দেখেছেন (১৯৯৪, ২০০২)৷ ব্রাজিলের ‘দ্বাদশ ব্যক্তি’ হয়ে উঠেছিলেন তিনি৷ তবে এবার নেইমাররা গ্যালারিতে আর তাঁকে পাবেন না৷ ২০১৫-তে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ব্রাজিলের এই পরম ভক্ত৷ ব্রাজিলকে হয়তো সমর্থনে যুদ্ধজয়ের সাহস দিতে পারতেন, কিন্তু ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইটা যে একা একাই লড়তে হয়। সে লড়াইয়ে হেরে গিয়েছেন ক্লোভিস।

তবে তাঁর লিগ্যাসি ফুরোয়নি৷ এবার ব্রাজিলের হয়ে গলা ফাটাতে তৈরি তাঁর দুই পুত্র ফ্রাঙ্ক ও গুস্তাভো৷ হাতে সেই বিশ্বকাপের রেপ্লিকা৷ নেইমাররা যখন বিশ্বকাপ অভিযানে মাঠে নeমতে চলেছেন, তখন বাবার মতোই ফুটবল আরাধনার কাজটি চালিয়ে যাবেন তাঁরাও৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ