Advertisement
Advertisement

Breaking News

ধরাশায়ী ইংল্যান্ড, ব্রিটিশদের হারিয়ে ইতিহাস লড়াকু ক্রোটদের

পিছিয়ে পড়েও অবিশ্বাস্য জয় মদ্রিচদের।

Football World Cup : It's not coming home for England, Croatia creates history to reach final
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 12, 2018 2:10 am
  • Updated:September 14, 2023 6:50 pm

ক্রোয়েশিয়া: ২ (পেরিসিচ, মান্ডজুকিচ- এক্সট্রা টাইম)

ইংল্যান্ড: ১ (ট্রিপিয়ার)

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উফ! কী টান টান উত্তেজনা। কী রুদ্ধশ্বাস লড়াই। এই নাহলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল! ম্যাচে গোলের সংখ্যা যে কটাই হোক না কেন, ফুটবল মানে তো ৯০ মিনিটের সাসপেন্স থ্রিলারও। প্রতি মুহূর্তে কিছু ঘটার আশঙ্কা। আর সেখানেই মন জয় করে নিল এ লড়াই। দেশকে জগৎসভার শ্রেষ্ঠ আসনে বসানোর জন্য লাগাতার প্রয়াস চালিয়ে গেল দুই দল। আর শেষমেশ থ্রি লায়ন্সের গর্জন থামিয়ে বিশ্ব মঞ্চে নয়া ইতিহাস রচনা করল ক্রোয়েশিয়া। দুনিয়াকে চমকে দিয়ে প্রথমবারের জন্য তারা পৌঁছে গেল টুর্নামেন্টের ফাইনালে। অঘটনের বিশ্বকাপে এর চেয়ে বড় ক্লাইম্যাক্স আর কীই বা হতে পারত?

Advertisement

[বিদায়বেলায় চিঠি লিখে আবেগে ভাসলেন জুভেন্তাসের রোনাল্ডো]

বিশ্বকাপের শেষ সাক্ষাতে ইংল্যান্ডের কাছে ১-৫ গোলে পরাস্ত হয়েছিল ক্রোটবাহিনী। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন দাভর সুকের। এদিন সেই হারেরই মধুর প্রতিশোধ নিলেন মদ্রিচরা। আর সেই সঙ্গে তৈরি হল নয়া ইতিহাস। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নিয়েই যে দেশ তৃতীয় স্থানে শেষ করেছিল, তারাই এবার ফাইনালে খেলবে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে।

১৯৯০ ইটালি বিশ্বকাপে ববি রবসন, গ্যারি লিনেকাররা শেষবার দলকে সেমিফাইনালে পৌঁছে দিয়েছিলেন। ডেভিড বেকহ্যাম, ওয়েন রুনিরা এসেও ইংল্যান্ডের অন্ধকার দূর করতে পারেননি। সেই অন্ধকারে আলো জ্বালাতে ব্যর্থ হ্যানি কেনও। অথচ শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন তাঁরা। কে বলবে ফাইনালে ওঠার চাপ মাথায় নিয়ে খেলছেন। কী দারুণ আত্মবিশ্বাসী গোটা দল। যার ফসল মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে ফ্রিকিক থেকে ট্রিপিয়ারের দুর্দান্ত একটা গোল। কিন্তু গোলের পরেও উচ্ছ্বাসে ভাসলেন না সাউথগেট। তখনও যে লক্ষ্যে পৌঁছানো বাকি। কিন্তু সবুরে মেওয়া ফলল না। ক্রোয়েশিয়ার কঠিন রক্ষণ ভাঙতে আর পারেননি ইয়ং, স্টারলিংরা। আর দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎই যেভাবে তেড়েফুড়ে ওঠেন পেরিসিচ, রেবিচরা, তাতেই বেসামাল হয়ে পড়ে ব্রিটিশ রক্ষণ। জয়ের খিদেই অতিমানবীয় শক্তি এনে দিল দলটার মধ্যে। যে দলটাকে সেমিফাইনালিস্ট হিসেবে অনেকে ভাবতেই পারেননি, তারা পিছিয়ে পড়েও গোলে ফিরে নিজেদের জাত চেনাল। প্রথমার্ধে ইংরেজদের দাপটে রীতিমতো একপেশে হয়ে পড়া ম্যাচের ৬৮ মিনিটে কামব্যাক করা কিন্তু মুখের কথা নয়। ওয়াকারের মাথার উপর দিয়ে বাঁ-পায়ে শটে বল জালে জড়িয়ে সমতা ফেরান পেরিসিচ। আর তাতেই জমে যায় শেষ চারের লড়াই। বাকি কাজটা এক্সট্রা টাইমে করেন মান্ডজুকিচ।  মাঝমাঠই দালিচের দলের শক্তি। যা এদিন আরও একবার প্রমাণিত।

[‘হিরো’ থাইল্যান্ডের খুদে ফুটবলাররাই, সেমিফাইনালের জয় উৎসর্গ পোগবার]

মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে সুকেরের স্বপ্নের স্মৃতি উসকে দিয়ে আরও একধাপ এগিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোটরা। তবে কি নতুন বিশ্বচ্যাম্পিনকে পাবে দুনিয়া? অঘটনের বৃত্ত কি সম্পূর্ণ হবে?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ