স্টাফ রিপোর্টার: সোনার পরির দখল নেওয়ার লড়াইয়ে ৩১ দেশকে পিছনে ফেলেছে ফ্রান্স। তারপর এখনও কেটেছে মোটে আটটা দিন। আগের এক মাস রাত জেগে রোনাল্ডো, মেসি, নেমারদের খেলা দেখা। শুধু নিজেরাই নয়। সঙ্গে পরিবারও। কেউ কেউ তো এখন থেকেই বাড়ির পুঁচকেদের মনেও ঢুকিয়ে দিতে চাইছেন ফুটবল ভাইরাস। চান নিজেদের মতো তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মও ভুগুক ফুটবল ফোবিয়ায়। আর তাই ইস্টবেঙ্গলের আমনা, আয়দারা, কিংশুক, ডিকারা হোন। বা মোহনবাগানের শিল্টন, মেহতাব, কিংসলে, হেনরি। সবাই এখনও ভুগছেন বিশ্বকাপ হ্যাংওভারে। এখনও রোনাল্ডো-মেসির বিদায় প্রসঙ্গ উঠলে তাঁদের চোখে-মুখে আফসোসের ছাপ। আবার এমবাপের মতো তরুণ তারকার কথায় দুই ঠোঁটের ফাঁকে খেলে যায় একরাশ বিস্ময়।
[ফেডারেশনের বর্ষসেরা ফুটবলারের সম্মান পেলেন সুনীল ছেত্রী]
তবে এসবের মধ্যেও নিজেদের কর্তব্যের প্রতি বেশ সিরিয়াস প্রত্যেক। সবাই জানেন, হাতে আর খুব একটা সময় নেই। এর মধ্যেই কড়া নাড়বে কলকাতা লিগ। বছরের প্রথম ট্রফি। যে কোনও খেলায় একটা কথা বেশ চলে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচটা জিততে পারলে আলাদা মোটিভেশন পাওয়া যায়। আবার অনেকটা প্রথম টুর্নামেন্ট জিততে পারলেও আত্মবিশ্বাসের ট্যাঙ্কে ঢুকে যায় অনেকটা ফুয়েল। তাই একদিকে লাল-হলুদে যেমন হ্যাটট্রিকের হ্যাটট্রিক করে নতুন রেকর্ড তৈরির চ্যালেঞ্জ। উলটোদিকে সবুজ-মেরুনের লক্ষ্য গত আটবারের হতাশা কাটিয়ে ঘরে সিএফএল-এর আলো জ্বালানো। টানা বৃষ্টিতে দুই মাঠের অবস্থাই বেশ খারাপ। অনেকটা করে বড় হয়ে গিয়েছে না কাটা ঘাস। এই মাঠেই খেলতে হবে লিগের ম্যাচ। তাই প্রস্তুতির পাশাপাশি মাঠকে বিশ্রাম দিতে ও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে কড়া নজর দুই ক্লাবের হেড স্যরের। সোমবার দুই প্রধানই জিমে সময় কাটিয়েছে। আজ হল হালকা প্র্যাকটিস। আগামিকাল আবার দুই প্রধানই খেলবে প্র্যাকটিস ম্যাচ। সকালে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ তালতলা দীপ্তি। বিকেলে ইস্টবেঙ্গল খেলবে বিএসএস-এর সঙ্গে।
[ধর্ষণে অভিযুক্ত বন্ধু, ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান]
দল নিয়ে কথা বলা বারণ। তবে বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে আড্ডার ছলে আমনা বলছিলেন, “আমি মেসি-ভক্ত। তাই আর্জেন্টিনার জয় চেয়েছিলাম। ওরা তাড়াতাড়ি হেরে যাওয়ায় খুব হতাশ। এবারের বিশ্বকাপটা এশিয়ার কাছেও কিন্তু বেশ ভাল গেল। সৌদি আরব ছাড়া বাকি সব দেশই দুর্দান্ত খেলল। তবে ওসব ভেবে আর লাভ নেই। এখন মাথায় শুধুই কলকাতা লিগ।” দীর্ঘদিন পর মোহনবাগানে ফেরা মেহতাবের বক্তব্য, “২০০৫ সালে যেবার শেষ মোহনবাগানে খেলি, সেবার কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হই। তখন ক্যাপ্টেন ছিলাম। এবারও চেষ্টা সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে।”
ছবি: অচিন্ত্য রায় ও শঙ্কর নাগ দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.