Advertisement
Advertisement

সুভাষ ভৌমিকের আত্মজীবনী প্রকাশ অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট, আবেগে ভাসলেন প্রাক্তন সতীর্থরা

কয়েকটি ম্যাচে সুযোগ না পাওয়ায় কোচ পিকে-র ওপর রেগে ছিলেন সুভাষ। তারপর যা ঘটেছিল তা বিস্ময়কর।

Autobiography of Subhash Bhowmick released posthumously | Sangbad Pratidin
Published by: Krishanu Mazumder
  • Posted:February 10, 2022 1:51 pm
  • Updated:February 10, 2022 4:49 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত-র (Rudraprasad Sengupta) জনপ্রিয় নাটক ‘ফুটবল’ দুই প্রখ্যাত ফুটবলারকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছিল। একজন ছিলেন গৌতম সরকার। আর একজন প্রয়াত সুভাষ ভৌমিক। যে নাটকে অভিনয় করেছিলেন দেবশঙ্কর হালদার। সুভাষ ভৌমিক (Subhash Bhowmick)) আর বেঁচে নেই। কিন্তু সেই নাটকের সময় কী ভাবে তাঁর রক্ত গরম হয়ে যেত, আজও মনে করতে পারেন দেবশঙ্কর। বলছিলেন, “ফুটবল নাটকে আমরা অনেক বার অভিনয় করেছি। সেখানে গৌতম সরকার, সুভাষ ভৌমিকের নাম বা উক্তি বলার সময় রক্ত গরম হয়ে যেত আমাদের।”

পাঠক, আপনি যদি বুধবারের ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাবে প্রয়াত সুভাষ ভৌমিকের আত্মজীবনী প্রকাশ অনুষ্ঠানে থাকতেন, নস্ট্যালজিক হয়ে পড়তেন নিশ্চিত। বুধবার যে আত্মজীবনী প্রকাশ হল। যার নাম ‘গোল’ (GOAL)। যা বিস্ফোরক এক কথায়, এবং যার সহ লেখক সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘কী হল, দৌড়চ্ছিস না কেন?’, দ্বিতীয় ম্যাচেই তারকাকে ‘ধমক’ অধিনায়ক রোহিতের]

আর কী হল না সেই অনুষ্ঠানে? সুভাষ পুত্র অর্জন ভৌমিক বলছিলেন যে, পিতা বেঁচে থাকলে প্রবল খুশি হতেন। দেখতে পেতেন, তাঁর মৃত্যুর পরেও সমস্ত স্পটলাইট তাঁরই উপর। অর্জুন বলছিলেন, “বাবা বলতেন, তিনি যখন কথা বলবেন, কেউ আর বলবে না। উনি দেখলে খুশি হতেন যে, প্রয়াত হওয়ার পরেও সমস্ত প্রচার তাঁরই উপর এখনও।” সুভাষ কন্যা মৈত্রেয়ী ভৌমিক আবার বলছিলেন, “বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে দেখেছিলাম, কত লোক এসে কাঁদছেন। বাবার জন্য তখন গর্ব হচ্ছিল।”

Advertisement

সুভাষ ভৌমিকের আত্মজীবনীতে লিপিবদ্ধ থাকা বিতর্কিত ঘটনার কথাও কিছু শোনা গেল। যেমন পিকে-সুভাষ চ্যালেঞ্জ। একবার পর পর কিছু ম্যাচে সুযোগ পাননি বলে কোচ পিকে-র ওপর রেগে ছিলেন সুভাষ। তারপর যা ঘটেছিল তা বিস্ময়কর। বেশ কয়েকটা ম্যাচ পর সুভাষকে খেলতে বলা হলে মাঠে প্রথমে নামতে চাননি তিনি। যার পর সুভাষকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে পিকে বলেছিলেন, “ম্যাচ জিতিয়ে এলে তোর জুতো জোড়া মুখে করে আমি ঘুরব।”

যে অজানা স্মৃতি তুলে ধরলেন দেবশঙ্কর হালদার। যিনি নিঃসন্দেহে এদিনকার অনুষ্ঠানের নায়ক।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবাদপ্রতিম শ্যাম থাপাও। আজীবন যাঁর সঙ্গে ঠাট্টা করে গিয়েছেন প্রয়াত সুভাষ। শ্যাম বলছিলেন, “অন্য ধরনের মানুষ ছিল সুভাষ। ওকে নিয়ে একটা কেন, অনেকগুলো বই লেখা হয়ে যাবে। প্রচুর স্মৃতি ওর সঙ্গে। দারুণ ফুটবলার ও। তবে তার থেকেও বড় কোচ। সব সময় মজা করত। আর ওর ভাব ছিল মস্তানদের মতো।’’

আহা, সুভাষ ভৌমিক যদি সত্যিই আজ সশরীরে থেকে সব দেখতে পেতেন!

[আরও পড়ুন: কর্ণাটকের হিজাব কাণ্ডে উলটো সুর! প্রতিবাদী মুসকানের পাশে আরএসএসের মুসলিম শাখা]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ